২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
প্রকাশিত:রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ ১১:০৬
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:- পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুটপাট হওয়া পাথর নিতে আসা চারটি স্টিল নৌকা আটক করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার রাতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কলাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দারা ধলাই সেতু এলাকা থেকে নৌকাগুলো আটক করেন। পরে তারা নৌকাগুলো পুলিশের জিম্মায় দিয়ে দেন। পুলিশ জানিয়েছে এখনো নৌকার মালিক পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, সাদাপাথর থেকে দিনে ও রাতে অবাধে পাথর লুটপাট চলছে। আগে বারকি নৌকা দিয়ে সাদাপাথর ও বাঙ্কারের পাথর লুটপাট করে নদীর পাড়ে রাখা হতো। পরে সেগুলো গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হতো। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন নদীর পাড়ে রাখা পাথরগুলো ৩-৫ হাজার ফুটের নৌকা দিয়ে নৌ পথে কোম্পানীগঞ্জের বাহিরে পাঠানো হচ্ছে। এসব লুটপাট করতে কোম্পানীগঞ্জের পাশাপাশি সুনামগঞ্জ ও অন্যান্য স্থান থেকে স্টিল বডি নিয়ে আসেন এসব লুটপাটকারীরা। লুটপাটের নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকজন জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রভাবশালী লোকজন থাকায় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এখন রাত ও দিনে অবাধে স্টিল বডি দিয়ে লুটপাট চলে। যার কারণে আর কোনো উপায় না পেয়ে এখন স্থানীয়রা যতটুকু পারছেন এসব লুটপাট বন্ধে নৌকা আটকাচ্ছেন, বুঝিয়ে নৌকা ফিরিয়ে দিচ্ছেন যাতে আর লুট না হয়। কিন্তু, প্রশাসনিক কোনো শক্ত ব্যবস্থা না থাকায় কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না লুটপাট। যার কারণে শনিবার রাতেও পাহারায় থেকে সাদাপাথর লুট করতে আসা ৬টি স্টিল নৌকাকে তাড়া করে ৪টি আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে রাতে পুলিশের কাছে নৌকাগুলো হস্তান্তর করেন তারা। তবে এখনো অভিযুক্ত কাউকে শনাক্ত বা আটক করতে পারে নি পুলিশ।
এবিষয়ে কলাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ূন রশীদ হুমন জানান, প্রতিদিনই বারকি নৌকা ও স্টিল বডি নৌকা দিয়ে সাদাপাথর লুটপাট হয়। প্রশাসনিক কোনো শক্ত পদক্ষেপ না থাকায় দিন দিন এই লুটপাট বেড়ে চলেছে। আমরা এর আগেও ৩টি নৌকা আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছি। শনিবার রাতে আমরা নদী থেকে ৪ টি নৌকা আটক করতে সক্ষম হই। পরে আমরা পুলিশে খবর দিলে তারা এসে নৌকাগুলো তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। পুলিশ চাইলে এর সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে আটক করে ব্যবস্থা নিতে পারতো। কেননা ওই ৪ টি নৌকার একটি নৌকা মালিকের নাম সহ তার ফোন নাম্বার ও এলাকার ঠিকানা দেওয়া।
এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, আটক করা নৌকাগুলোতে বালু বা পাথর কোনো কিছু ছিল না। তবে তারা বালু কিংবা পাথর আনতেই গিয়েছিল এটা সত্য। নৌকাগুলো আমরা জব্দ করেছি। এর সাথে কারা জড়িত আমরা এখনো কোনো তথ্য পাই নি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Helpline - +88 01719305766