২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ১০ জুলা ২০২৫ ০২:০৭
জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি।
এছাড়া, জুলাই অগাস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আলোচিত এ মামলায় আগামী ৩ আগস্ট সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শেষে ৪ আগস্ট থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
রায় শেষে আদালত প্রাঙ্গণে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “আজ ৫টি অভিযোগের ভিত্তিতে তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।”
তিনি জানান, মামলার এক আসামি সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি পলাতক আছেন। এ কারণে আইনি প্রক্রিয়ায় নোটিশ জারি করা হয় এবং তারপরও তারা উপস্থিত না হওয়ায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তারপরও তারা আদালতে উপস্থিত হননি। আসামি শেখ হাসিনাকে আদালতে উপস্থিত করার ব্যাপারে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে দেশে পালিয়ে আছেন সেই দেশের সঙ্গে চুক্তির আওতায় ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা রাষ্ট্র করেছে। কিন্তু সেই আহ্বানে ভারত সাড়া না দেওয়ায় তাকে উপস্থিত করা সম্ভব হয়নি। অপর আসামি আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক আছেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, “আদালতে উপস্থিত চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যখন অভিযোগ পড়ে শোনানো হয় এবং আদালত তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাকে যে অভিযুক্ত করা হচ্ছে এ বিষয়ে তার বক্তব্য কী? তখন তিনি তার দোষ স্বীকার করেছেন। তিনি (মামুন) বলেছেন একজন সাক্ষী হিসেবে এই যে ঘটনাটি ২০২৪ সালে জুলাই আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছিল, এগুলো তার জানার কথা, তিনি সমস্ত তথ্য উদঘাটনের ব্যাপারে সহায়তা করতে চেয়েছেন। আদালত সেই প্রার্থনা মঞ্জুর করেছেন। পরবর্তীতে তিনি এ বিষয়ে সহায়তা করবেন।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তাজুল ইসলাম বলেন, “মামুন এখন সাক্ষী হিসেবে গণ্য হবেন। তার রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন ছিল, আদালত মঞ্জুর করেছেন। তিনি এখন জেলেই থাকবেন। তার বক্তব্য নেওয়ার পর আদালত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।”
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, “যেহেতু তিনি রাজসাক্ষী হতে চেয়েছেন এ কারণে তার নিরাপত্তার সংকট হতে পারে। এই আশঙ্কায় তার পক্ষ থেকে আইনজীবী আবেদন জানিয়েছেন যাতে তাকে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হয়। সেই বিষয়েও আদালত যথাযথ আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।”
তিনি আরো বলেন, “তার (মামুন) বক্তব্যের মাধ্যমে যদি ট্রু এবং ফুল ডিজক্লোজার হয় তাহলে আদালত তাকে ক্ষমা করতে পারেন আবার অন্য কোনো আদেশ দিতে পারেন।”
Helpline - +88 01719305766