২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ১১:০৫
স্টাফ রিপোর্টার:- সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংরক্ষিত ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) এলাকা থেকে চলছে হরিলুট। ইতিমধ্যে লুটপাটকারীরা প্রায় ৯০ শতাংশ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে পুলিশ অভিযান দিয়ে গাড়ি আটক করলেও পড়তে হয় মহা বিপদে। রোপওয়ের চোরাই মালামাল কিংবা অবৈধ পাথরবাহী গাড়ি আটক করলেই সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৭ এপ্রিল রাতে এমন ঘটনা ঘটে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে। আধা ঘন্টা বন্ধ থাকে এ রাস্তায় গাড়ি চলাচল।
এদিন সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই আসিব ইকবাল রোপওয়ের চোরাই মালামাল উদ্ধারে অভিযান চালান। তিনি সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ইসলামপুর নামক স্থান থেকে পিকআপ বুঝাই রোপওয়ের মালামাল আটক করেন। এসময় গাড়ি চালক করম আলী ও আজাহান আলী নামে ২জনকে আটক করেন। পরে গাড়িসহ তাদের কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পিকআপ গাড়ি থেকে ৯টি লোহার বড় বড় স্প্যান জব্দ করা হয়।
এদিকে রোপওয়ের চোরাই মালামালসহ গাড়ি ও ড্রাইভার আটক করার প্রতিবাদে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা রাস্তায় ট্রাক ফেলে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন। এসময় সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দু’পাশে শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগে যাত্রীরা রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করে দেন।
এর আগে রোপওয়ে ও সাদাপাথর লুটপাট করে পরিবহন করার সময় পুলিশ ট্রাক আটক করলেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হতো। বড় বড় ট্রাক রাস্তায় ফেলে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নামে মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হতো। এ ছাড়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময়ও সরকারি কাজে বাঁধা দিয়ে তারা রাস্তা অবরোধ করা হয়েছিল। ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ থাকত রাস্তা। ভোগান্তী পোহাতে হতো পর্যটকবাহী গাড়ি ও যাত্রীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা সাদাপাথর বুঝাই গাড়ি আটক করতে দেয় না। তাদের কথার সাথে মিল না হলেই তারা আইন না মেনে রাস্তা অবরোধ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হুমকি-ধমকি দিয়ে কথা বলে। তাদের জন্য মুলত সাদাপাথর বুঝাই গাড়ি আটক করা থেকে পুলিশ বিরত রয়েছে।
ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমদ জানান, গতকাল ১০ মিনিট রাস্তা অবরোধ ছিল। আমাদের একজন শ্রমিককে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছিল। তাকে দেখতে থানায় গেলে একজন পুলিশ আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে সেজন্য এই রাস্তা অবরোধ করা হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলছি অবৈধ কোনকিছু দিয়ে গাড়ি পেলে তারা যেন নিয়ে যায় এতে আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান ভোলাগঞ্জ বাংকারের লোহা সহ গাড়ি ও ২জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়ে। তিনি আরো বলেন সাদাপাথর বুঝাই গাড়ি আটক করলে রাস্তা অবরোধ করা হতো গাড়ি আনতে দেওয়া হতো না। তবে গতকাল আমি একটি বিট পুলিশিং প্রোগ্রামে ছিলাম। সেখানে খবর পাই রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। কিন্তু আমি এসে রাস্তায় কোন অবরোধ পাইনি। বাংকার ও পাথর লুটের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Helpline - +88 01719305766