হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত:সোমবার, ২২ এপ্রি ২০২৪ ০৭:০৪

হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

সুরমাভিউ:-  ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস মহান মে দিবসে খানাদানা বেতনসহ সর্বাত্নক ছুটির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন।

২১ এপ্রিল দুপুর ১২ ঘটিকান সময় জেলা প্রশাসক সিলেট বরাবর সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন  (রেজি নং চট্ট-১৯৩৩) এর সভাপতি মো ছাদেক মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রদান করেন প্রতিনিধি দল।

স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, মহান মে দিবস আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির ঐক্য ও সংহতি প্রকাশের দিন। মহান মে দিবস উপলক্ষে ১ মে সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণি ছুটি ভোগ করে থাকেন। বাংলাদেশেরও সর্বস্তরের সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীরা ছুটি ভোগ করে থাকেন। বিগত বছরের মত এবারও যাতে হোটেল রেস্টুরেন্টের শ্রমিকরা এই ছুটি ভোগ করতে পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেন নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও উল্লেখ্য করে বলেন বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ (অদ্যাবধি সংশোধিত) এর ৫ ধারায় নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র, ৬ ধারায় সার্ভিস বই, ২(১০) ধারায় চাকুরীচ্যূতি জনিত ৪ মাসের নোটিশ পে, প্রতিবছর চাকুরীর জন্য ৪৫ দিনের গ্রাচ্যুয়েটি, ১০৩ ধারায় সপ্তাহে দেড়দিন সাপ্তাহিক ছুটি, ১০৮ ধারায় দৈনিক ৮ ঘন্টা সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা কাজ, অতিরিক্ত কাজের জন্য দ্বিগুণ মজুরি প্রদান, ১১৫ ধারায় বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ১১৬ ধারায় ১৪ দিন অসুস্থাতার ছুটি, ১১৭ ধারায় প্রতি ১৮ দিন কাজের জন্য ১ দিন অর্জিত ছুটি, ১১৮ ধারায় ১১ দিন উৎসব ছুটি ও উৎসব বোনাস প্রদানের আইন থাকলেও হোটেল শ্রমিকদেরকে এই সকল আইনগত অধিকার হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শ্রম আইনে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ ও বাসস্থানের বিধান থাকলেও শ্রমিকরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে ও থাকতে বাধ্য হন। হোটেল রেস্টুরেন্টের শ্রমিকরা দৈনিক ১০/১২ ঘন্টা অমানবিক পরিশ্রম করে অর্ধাহারে-অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হন, যার কারণে হোটেল শ্রমিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। হোটেল শ্রমিকরা সারা বছর প্রতিষ্ঠানে কাজ করলেও বছরে ১দিন ছুটি উপভোগ করা শ্রমিকের প্রাপ্য অধিকার।

স্মারকলিপির অনুলিপি বিভাগীয় কমিশনার, মহা-পরিচালক, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মহা-পরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, পুলিশ কমিশনার, মেয়র, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ সুপার, উপ-পরিচালক, আঞ্চলিক শ্রমদপ্তর, উপ-মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, দি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, বাংলাদেশ রেস্তোঁরা মালিক সমিতি সিলেট জেলা বরাবর প্রেরণ করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আহবান জানান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ