মধ্যরাতে ঢাবি ও সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

প্রকাশিত:সোমবার, ২৭ জানু ২০২৫ ০৮:০১

মধ্যরাতে ঢাবি ও সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) মধ্যরাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে নীলক্ষেত এলাকা। এ ঘটনায় উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের সহায়তায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রবিবার সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাবি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পরেই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা শুরু হয়।

রাত বারোটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত নীলক্ষেতে একটি সাজোয়া জলকামান অবস্থান করছে।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী রাকিব রহমান বলেন, “সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রবেশের বাসভবন ঘেরাওয়ের জন্য আমাদের মুক্তি ও গণতন্ত্র গেটে আসলে অবস্থানরত ঢাবির শিক্ষার্থীরা তাদেরকে আসতে নিষেধ করেন। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি আবাসিক এলাকা। এখানে রাত দশটার পরে বহিরাগত প্রবেশ করতে পারেনা। আমরা তাদেরকে বলেছি আপনাদের যদি কোনো দাবি-দাওয়া থাকে তাহলে আপনারা আগামীকাল সকালে আসবেন। কিন্তু তারা রীতিমত উস্কানি দিয়েছে। তাদের হাতে দেশি অস্ত্র ছিল।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মাইনুল নবীন বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কেউ অরাজকতা তৈরি করতে আসে তাহলে আমরা শক্ত হাতে তাদেরকে প্রতিরোধ করব। একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসিকে তারা কোনোভাবেই হেনস্তা করতে পারে না। তাদের কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে তারা প্রতিনিধি দল নিয়ে আসতে পারে, তবে আমাদের স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তারা মব সৃষ্টি করতে পারে না।”