কুরআনকে শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করতে পারা সৌভাগ্যের বিষয় : শায়খ আব্দুস সালাম আল মাদানী

প্রকাশিত:বুধবার, ১১ ডিসে ২০২৪ ০৯:১২

কুরআনকে শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করতে পারা সৌভাগ্যের বিষয় : শায়খ আব্দুস সালাম আল মাদানী

সুরমাভিউ:-  বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ শায়খ আব্দুস সালাম আল মাদানী বলেছেন, আল কুরআনকে শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করতে পারা সৌভাগ্যের বিষয়। আল্লাহ তায়া’লা শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তারতিলের সাথে কুরআন তেলাওয়াত করতে না পারলে যেমন নামাজ শুদ্ধ হয় না, তেমনই বাস্তবজীবনে কুরআনের অনুসরণ করাও কঠিন হয়ে যায়। শুদ্ধভাবে তেলাওয়াতে উৎসাহিত করতে কেমুসাসের আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়।

কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট-এর উদ্যোগে অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলায় ‘বিশেষ’, ‘ক’, ‘খ ও ‘গ’ গ্রুপের ক্বিরাত প্রতিযোাগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংসদের কার্যকরী কমিটির সদস্য, ভিন্নধারা সম্পাদক জাহেদুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় বইমেলা প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

বইমেলা উপকমিটির সদস্য সচিব কামরুল আলমের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য রুহুল ফারুক, বইমেলা উপকমিটির সদস্য গল্পকার মিনহাজ ফয়সল, ক্বারী শামসীর হারুনুর রশীদ, ক্বারী মাজহারুল ইসলাম জয়নাল। বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রাবন্ধিক ক্বারী শামসীর হারুনুর রশীদ, প্রাবন্ধিক ক্বারী মাজহারুল ইসলাম জয়নাল, ক্বারী আব্দুল বাছিত, ক্বারী জহুর মুনিম। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জহুর মুনিম। প্রতিযোগিতায় সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দুইশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিযোগিতায় বিশেষ গ্রুপের বিজয়ীরা হলেন: প্রথম-রাদিয়া জান্নাত তালুকদার, দ্বিতীয়-সাফওয়ান আহমদ, তৃতীয়-আয়ানা জামান।

‘ক’ গ্রুপের বিজয়ীরা হলেন: প্রথম-তাওহিদুল ইসলাম নাসিম, দ্বিতীয়-(যৌথভাবে) আহনাফ আনসারী, তাহমিদ তাহসিন এবং তৃতীয়-নাহিয়ান আহমদ লাবিব।

‘খ’ গ্রুপের বিজয়ীরা হলেন: প্রথম-আব্দুল্লাহ আল মামুন, দ্বিতীয়-উবায়দুর রহমান এবং তৃতীয়-(যৌথভাবে) নিজাম উদ্দিন ও মাহমুদুর রহমান ফাহিম।

‘গ’ গ্রুপের বিজয়ীরা হলেন: প্রথম-আবু সালেহ সোহান, দ্বিতীয়-মাশহুদ আল হাবিব এবং তৃতীয়-নাঈম ফয়জুল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে সংসদের কার্যকরী কমিটির সদস্য জাহেদুর রহমান চৌধুরী বলেন, কুরআন নাজিল হয়েছে একটি আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের জন্য। এজন্য সর্বপ্রথম কুরআনকে সঠিকভাবে তেলাওয়াত করতে হবে। এছাড়া কুরআনের জ্ঞানকে উপলব্ধি করা এবং একে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমেই তেলাওয়াতের হক্ব আদায় করতে হয়। কেমুসাস ক্বিরাত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুদ্ধভাবে তেলাওয়াতের প্রতি উৎসাহী করে তুলছে।

উল্লেখ্য, অষ্টাদশ কেমুসাস বইমেলা সংসদের সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ভাষাসৈনিক এ এইচ সা’দাত খানকে নিবেদিত করা হয়েছে। বইমেলা চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত, প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা। ১১ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ