২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
প্রকাশিত:রবিবার, ১৩ অক্টো ২০২৪ ১২:১০
প্রায় চার বছর কমিটিহীন থাকার পর নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়। ৭ দিনের ভেতরে আংশিক কমিটি দেয়ার ঘোষণা থাকলেও ১ বছর মেয়াদি কমিটির আজ ৩ বছর হলেও পূণাঙ্গ হয়নি। এ নিয়ে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত প্যাডে সিলেট জেলা ছাত্রলীগে সভাপতি নাজমুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাহেল সিরাজের নাম ঘোষণা করেন।
এছাড়া সদস্য হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পান জাওয়াদ ইবনে জাহিদ খান, বিপ্লব কান্তি দাস, মুহিবুর রহমান মুহিব ও কনক পাল অরূপ। যদিও এই কমিটি ঘোষণার পর অনেকেই স্বেচ্ছায় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন।
এবার জানা গেল পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ার কারণ। খোদ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.নাজমুল ইসলাম জানালেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের জন্য তিনি চার বার জমা দিয়েছেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে ধরা, পায়ে ধরা, মালিশ করা, মলম দেওয়া এমন কিছু বাদ রাখেননি। দায়ী করেছেন সিলেট আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাকে।
মো.নাজমুল ইসলাম সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার তিন বছর পূর্ণের আগের দিন শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন।
নাজমুল ইসলামের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ,সিলেট জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগামীকাল ০৩বছর পূর্ণ করবো,এই দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে ব্যার্থতা আক্ষেপ একটাই তা হলো পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করতে না পারা,তবে আমি আমার বিবেকের কাছে সবসময় পরিস্কার ,কেননা এই তিন বছরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বমোট চার (০৪) বার পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিয়েছি,চেষ্টা তদবির হাতে ধরা পায়ে ধরা মালিশ করা মলম দেয়া এমন কিছু বাদ রাখি নাই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য,দিনের পর দিন ঢাকা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন না করাতে পারার এই আক্ষেপ সবসময় থাকবে।
প্রশ্ন আসবে কেন অনুমোদন হয়নি ,কারা বাধা দিলেন ,সমস্যা কি ছিলো?উত্তর একটাই দলের এখন দুর্দিন,দুঃসময়ে এইসব বলে সংগঠনের অভ্যন্তরে আর বিভক্তি তৈরি করতে চাইনা,তবে মোটা দাগে যদি দায় দিতে হয় তবে অবশ্যই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি /সাধারণ সম্পাদক কে দিতে হবে,তাদের খামখেয়ালি ,তাদের অবহেলা,স্বেচ্ছাচারিতার আর জবাবদিহিতা না থাকার কারণে শুধু সিলেট জেলা ও মহানগর নয় বরং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রায় সকল সুপার ইউনিট একধরণের স্থবির হয়ে গিয়েছিলো ,আর স্থানীয় পর্যায়ে এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট আওয়ামীলীগের সাথে আমাদের দূরত্ব ছিলো যেহেতু আমরা তাদের বলয়ের বাইরে ছিলাম এবং সেই কারণে সিলেটের আওয়ামীলীগের অনেকেই চাননি জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ পূর্ণাঙ্গ হোক,কেননা আমাদের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়ে গেলে সফল দের কাতারে আমাদের নাম অগ্রভাগে চলে আসবে এটা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি বা মেনে নেয়া সম্ভব ছিলোনা ‘
অফিস :ইস্ট এন্ড, তালতলা ,সিলেট-৩১০০, বাংলাদেশ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এমদাদুল হক
বার্তা সম্পাদকঃ আবু জাবের
মোবাইলঃ ০১৭১১৩৩১০৭০
ইমেইলঃ surmaview24@gmail.com
Helpline - +88 01719305766