ডায়াবেটিস রোগীরা কি আম খেতে পারবেন, যা বলছেন চিকিৎসক

প্রকাশিত:সোমবার, ০৮ জুলা ২০২৪ ১০:০৭

ডায়াবেটিস রোগীরা কি আম খেতে পারবেন, যা বলছেন চিকিৎসক

ঋতু পরিক্রমায় এখন গ্রীষ্মকাল। বাসা-বাড়ি কিংবা অফিস থেকে বের হলেই তীব্র গরমে জনজীবন নাজেহাল। বাসা-বাড়িতে এসি না থাকলে টিকে থাকা মুশকিল। গরমে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরতে থাকে। ফলে পানিশূন্যতার আশঙ্কা থাকে। এ সময় শরীর ভালো রাখার জন্য খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনা হয়।

গরমের সময় অনেকেই আম রাখেন খাদ্যতালিকায়। আম খাওয়ার পর অবশ্য তৃপ্তি পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগীদের। পরিবারের সব সদস্য আম খেলেও আশঙ্কা থেকে ডায়াবেটিসের কারণে নিজে খেতে পারেন না। পছন্দের ফলটি খেলেই নাকি সুগার বাড়বে? কিন্তু আসলেই কি ডায়াবেটিসের রোগীদের আম খাওয়া নিষেধ?

সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. আশিস মিত্র। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

পুষ্টিগুণে ভরপুর আম: ফলের রাজা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন কে, কপার, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এতে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে। এ জন্য নিয়মিত আম খেলে ইমিউনিটি বাড়ে। শরীর সুস্থ থাকে। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা সুস্থ মানুষদের নিয়মিত আম খাওয়ার কথা বলেন।

ডায়াবেটিস থাকলে কি আম খাওয়া যাবে: আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫১ থেকে ৫৬-এর মধ্যে থাকে। এ কারণে আম খাওয়ার পর হঠাৎ করেই সুগার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের আম থেকে দূরত্বে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে একদমই দূরত্বে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। চাইলে ছোট টুকরো খেতে পারেন। একই সঙ্গে আম খেলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

অবশ্যই শারীরিক ব্যায়াম: আম খেলে সুগারের মাত্রা বাড়বেই। এ জন্য সুগারকে তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শারীরিক পরিশ্রমের কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। আম খাওয়র পর সম্ভব হলে ১০-১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। এতে সুগার বাড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে আসবে। এছাড়া চাইলে ৩০ মিনিট করে দুইবার শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন।

অন্যসব ফলের সঙ্গে খাওয়া: ডায়াবেটিসের রোগীদের শুধু আম খেলে ঝুঁকি বেশি। এ জন্য লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফলের (শসা, পেয়ার, জাম) সঙ্গে কয়েক টুকরো আম খেতে পারেন। এতেই সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

নিয়মিত সুগার মাপা: গ্রীষ্মে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যায়। এ সময় যে ফলই খাওয়া হোক না কেন, নিয়মিত সুগার মাপা জরুরি। এতে শরীরের অবস্থা বোঝা সহজ হয়। আর কখন চিকিৎসার প্রয়োজন, সেটিও আঁচ করা যায়। তবে নিজের ইচ্ছামত ওষুধ সেবন করা যাবে না। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ