৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
প্রকাশিত:সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ১০:০৫
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারে প্রাণের কোনো চিহ্ন নেই। খবর বিবিসির।
ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটি ‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে’।
“প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনায় সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে… দুর্ভাগ্যবশত, সব যাত্রী নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে,” কর্মকর্তা বলেছেন।
এর আগে অনুসন্ধান দল ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানটি খুঁজে পায়।
ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান রাষ্ট্রীয় টিভিকে এ তথ্য দিয়ে বলেছিল, “পরিস্থিতি ভালো নয়”।
উদ্ধারকারীরা ‘কয়েক মিনিটের মধ্যে’ হেলিকপ্টারে পৌঁছাবে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়। ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান পিরহোসেইন কোলিভান্দ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন উদ্ধারকারীরা ‘কয়েক মিনিটের মধ্যে হেলিকপ্টারের অবস্থানে পৌঁছে যাবে’।
তিনি বলেন, যেখানে হার্ড ল্যান্ডিং হয়েছিল বলে মনে করা হয় সেখান থেকে তারা প্রায় ২ কিমি দূরে ছিল।
এর কয়েক মিনিট পর ইরানি কর্মকর্তার রয়টার্স জানান, দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটি ‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে’।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি দেশের উত্তরে ঘন কুয়াশায় সমস্যায় পড়ার পরে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করেছিল।
এর আগে বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টারের অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য তুরস্কের পাঠানো একটি ড্রোন তাপের উৎস চিহ্নিত করেছে।
এজেন্সি দ্বারা প্রকাশিত উচ্চ-উচ্চতা দূরপাল্লার ড্রোন ব্যারাকটার আকিঞ্চি থেকে পাঠানো ফুটেজে রাতে একটি ল্যান্ডস্কেপের বায়বীয় দৃশ্য এবং একটি পাহাড়ের ধারে একটি অন্ধকার দাগ দেখায়।
স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ইরান-আজারবাইজান সীমান্ত এলাকা থেকে ফেরার পর রাইসি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে ইরানের বিমান পরিবহন নিরাপত্তার রেকর্ড খারাপ।
এটি অন্তত আংশিকভাবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কয়েক দশকের ফলাফল, যা এর বিমান বহরকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করেছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি বেল ২১২ হেলিকপ্টারে ছিলেন। মডেলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এবং ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে এটি ইরানের কাছে বিক্রি করা যায়নি।
এর আগে প্রতিরক্ষা ও পরিবহন মন্ত্রীরা, সেইসঙ্গে ইরানের স্থল ও বিমান সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডাররা বিমান বা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
যখন সংস্কারকারীরা ইরানের সরকারকে নেতৃত্ব দিয়েছিল, তখন তারা পশ্চিমের সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে দেশের বিমান বহরকে আধুনিকীকরণ করার লক্ষ্য নিয়েছিল. যাতে ইরানের সংবেদনশীল পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের অনুমতি দেওয়া হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করলে এই প্রচেষ্টাগুলো স্থগিত হয়ে যায়।
সংস্কারকদের পরবর্তীকালে কট্টরপন্থিদের দ্বারা বিরোধিতা করা হয়েছিল এবং উপহাস করা হয়েছিল, যারা জোর দিয়েছিল যে ইরান বিমান চলাচলের নিরাপত্তা উন্নত করতে তার দেশীয় শিল্প এবং বিদেশি মিত্রদের ওপর নির্ভর করতে পারে।
অফিস :ইস্ট এন্ড, তালতলা ,সিলেট-৩১০০, বাংলাদেশ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এমদাদুল হক
বার্তা সম্পাদকঃ আবু জাবের
মোবাইলঃ ০১৭১১৩৩১০৭০
ইমেইলঃ surmaview24@gmail.com
Helpline - +88 01719305766