৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
প্রকাশিত:বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ০৫:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:- মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ২জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত।
বুধবার (১৫ মে ) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মো: সোলায়মান এ রায় প্রদান করেন।
আদালতে রায় প্রদানের সময় রাষ্ট্র পক্ষে এডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশ ও আসামীদের পক্ষে এডভোকেট বিল্লাল হোসেন ও সানোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবারক মিয়া, পিতা-মজমিল ওরফে মজ মিয়া, সাং-ছিক্কা, ও জয়নাল মিয়া, পিতা-মৃত হামদু মিয়া, সাং-দক্ষিণ কাসিমপুর, উভয় থানা-রাজনগর ।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশ ও মামলার বাদীর এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত ৩০/০৫/১৮ইং তারিখ রোজ বুধবার বিকাল অনুমান ০৩ ঘটিকার সময় ধান ক্রয়ের জন্য নগদ ৭০ হাজার -টাকা নিয়ে আমার বোন রাজনগরের উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে বের হয়ে আসে।
ঐদিন সন্ধ্যা পরে আমি আমার ছোট বোন এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং- ০১৭৪১-৪৩৭১৫৩ এ কল করলে সে আমাকে জানায় রাজনগর পৌঁছিয়াছে। ঐদিন রাত অনুমান ০৮ ঘটিকার সময় আমার ছোট বোন আমাদের বাড়ীতে না যাওয়ায় আমার ছোট বোন রায়শা বেগম এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং-০১৭৪৭-০৯৮৭৫৪ হতে আমার ছোট বোন রাশেদা বেগম এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নং-০১৭৪১-৪৩৭১৫৩ এ কল দিলে সে বলে আমাদের পরিচিত রাজনগর থানাধীন আবারক এর বাড়ীতে যাচ্ছি। একটু পরে কল দিব। এর পর হইতে আমার ছোট বোন রাশেদা বেগম এর আর কোন খোঁজ খবর পাই নাই। সে আমাদের বাড়ী হতে বের হওয়ার সময় আমার ০২টি গরু বিক্রয়ের নগদ ৭০ হাজার টাকা সাথে নিয়া ও তার পরনে কালো রংয়ের বোরকা ও লাল সবুজ রংয়ের ছাপানো কামিজ, হলুদ ও সাদা রংয়ের ডোরা চেক পুরাতন সেলোয়ার, দুই কানে সোনালী রংয়ের ০২টি দুল পরিহিত ছিল।
সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি অবস্থায় বিগত ০২/০৬/১৮ইং তারিখ রাজনগর থানায় এসে জানতে পারি রাজনগর থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামা একটি মহিলার লাশ রাজনগর থানাধীন রাজনগর ইউপিস্থ জনৈক মোবারক এর বসত বাড়ীর দক্ষিণ পার্শ্বে সংলগ্ন মাছু গাঙ্গে (খালে) একজন অজ্ঞাতনামা কালো বোরকা পরিহিত মহিলা, যাহার বয়স অনুমান ৩০-৩৫ বছর হবে প্রাপ্ত হইয়া মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়া যায়।
পরবর্তীতে আমি আমার ছোট বোন রায়াশা ও তার স্বামী গিয়াস উদ্দিনসহ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে উপস্থিত হয়ে আমার বোনের মৃতদেহ এবং তার পরিহিত বোরকা ও কামিজ দেখে আমার বোনের লাশ বলে সনাক্ত করি।
গত ৩০/০৬/১৮ইং তারিখ রাত অনুমান ০৮ ঘটিকা হইতে ০১/০৬/১৮ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় আমার অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা যেকোন পন্থায় আমার ছোট বোন রাশেদা বেগমকে হত্যা করে বর্ণিত স্থানে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পানিতে ফেলে রেখেছিল।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে পরদিন রাজনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ।
আদালতের বিচারক ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হলে এ রায় প্রদান করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ওই মামলার অভিযুক্ত আবারক মিয়া ও জয়নালকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেকেকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশ জানান, বিজ্ঞ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২জনকে ফাঁসির আদেশ দেন একই সাথে প্রত্যেকেকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।রায় ঘোষণা শেষে আবারক মিয়া ও জয়নালকে সাজা পরোয়ানা মুলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অফিস :ইস্ট এন্ড, তালতলা ,সিলেট-৩১০০, বাংলাদেশ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এমদাদুল হক
বার্তা সম্পাদকঃ আবু জাবের
মোবাইলঃ ০১৭১১৩৩১০৭০
ইমেইলঃ surmaview24@gmail.com
Helpline - +88 01719305766