নিজ এলাকায় সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি বন্ধে সহায়তা চান ড. মোমেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রু ২০২৪ ১১:০২

নিজ এলাকায় সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি বন্ধে সহায়তা চান ড. মোমেন

নিজ নির্বাচনী এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকে থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ এনেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সরকারি দলের সংসদ সদস্য এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকায় কিছু সন্ত্রাসী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। তিনি এই চাঁদাবাজি বন্ধ এবং চাঁদাবাজির মাধ্যমে আদায় করা টাকা বাজেয়াপ্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার সংসদের বৈঠকে জরুরি জন–গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে সংসদের মনোযোগ আকর্ষণের আলোচনায় তিনি এই অভিযোগ তোলেন। সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ ধারায় এ ধরনের নোটিশের মধ্যে যেগুলো গ্রহণ করা হয় না (বাতিল নোটিশ) সেগুলো নিয়ে দুই মিনিট করে আলোচনার সুযোগ পান নোটিশ দাতা সদস্যরা।

নিজের নির্বাচনী এলাকা সিলেট–১ এর কথা উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, তাঁর এলাকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী প্রতি রাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী যেমন শাক-সবজি, চিনি ইত্যাদি পরিবহনে যে ট্রাকগুলো আসে সন্ত্রাসীরা প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫–১০ হাজার টাকা জোর করে নেয়। চাঁদা না দিলে ট্রাকগুলোতে ছিনতাই করে। এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তখন দুয়েকদিনের জন্য সন্ত্রাসী তৎপরতা কিছুটা কমে কিন্তু পরবর্তীতে আবার তা শুরু হয়। এই চাঁদাবাজদের অত্যাচারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে এই চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য আহ্বান জানান তিনি।

একইসঙ্গে সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি বাবদ যে টাকা সংগ্রহ করে তা যেন বাজেয়াপ্ত করা হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে বাতিল নোটিশের ওপর বক্তব্যকালে নিত্যপণ্য নিয়ে সরকার দলীয় হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, মূল্যস্ফীতির এ সময়ে বড় সমস্যা প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া। এটাও সত্য উচ্চ মূল্যস্ফীতি বৈশ্বিক কারণে। বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি নিম্নমুখী, এখন আমাদের নিত্যপণ্যের দাম কিভাবে কমানো যায় সেটার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রীকে (প্রতিমন্ত্রী) প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি দ্রুত নিত্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ