পাখি প্রেমিক সোসাইটির দাবির প্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশনা প্রদান

প্রকাশিত:রবিবার, ১২ নভে ২০২৩ ০৬:১১

পাখি প্রেমিক সোসাইটির দাবির প্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশনা প্রদান

শেখ মো শাহীন উদ্দীন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-  হবিগঞ্জের মাধবপুরে দীর্ঘদিন ধরে বন্যপ্রানী নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটির করা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষন সংক্রান্ত একটি আবেদন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আমলে নিয়েছেন। সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে পাখির মাংস বিক্রেতা হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি গ্রহণ করার জন্যে আদেশনামাও জারি করেছেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের স্বাক্ষরিত নোটিশে বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ১১/১২/২০২৩ ইং তারিখের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

কমিশনের নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরের ১২ টি রেস্তোরার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইনে মামলা করার কথা থাকলেও সিন্ডিকেট ও বন বিভাগের পেশাদারিত্বের উদাসিনতার ফলে এখন পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।

এ অবস্থায় নির্বিচারে পাখি নিধন ও পাখিদের সংরক্ষনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।অভিযোগটি জীব-বৈচিত্র ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংক্রান্ত। অভিযোগের বিষয়ে ,পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা যেতে পারে মর্মে যাচাই-বাছাই কমিটি মতামত প্রদান করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে মৌলভীবাজার জেলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কার্যালয়ে চিঠি প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট অঞ্চলের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান জানান,বিভিন্ন গণমাধ্যমে হরিপুরের পাখির মাংস বিক্রির বিষয়টি অবগত হয়ে আমাকে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মহোদয় বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা নির্দেশনা দিয়েছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখছি।

এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম,পিপিএম জানান,জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিষয়টি ও স্থানীয় বন বিভাগের তৎপরতায় পর থেকে আমরা অবৈধ বন্যপাখির মাংস বিক্রয় বন্ধে ওই এলাকায় টহল আরো জোরদার করেছি।জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ বিষয়ে তদন্ত করছেন যা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ।জৈন্তাপুর মডেল থানা এসব ভালো কাজের সাথে সব সময় আছে থাকবে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশমের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান,আমাদের সংবিধান সংরক্ষণ ও প্রচলিত দেশের আইনকে কার্যকর করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগ নিয়ে তাকে। এরই ধারাবাহিকতায় হরিপুরের পাখি হত্যা নিধনে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।

স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল বলেন,পাখি হত্যা বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এদের কাছে।এভাবেই বন্যপ্রানীদের অধিকার নিশ্চিত হবে বলে মনে করি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ