দেশের উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি তা বাস্তবায়ন করেন: আজিজুস সামাদ ডন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ০৭ নভে ২০২৩ ০৪:১১

দেশের উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি তা বাস্তবায়ন করেন: আজিজুস সামাদ ডন

সুরমাভিউ:-  মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর। ঘটনাবহুল এই দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ হিসেবে দেশব্যাপী পালন করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর), সকাল ১১:৩০ টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

৭ নভেম্বর শাহাদাত বরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক ও অফিসারদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আজিজুস সামাদ ডন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকের প্রজন্ম জানেনা আজ থেকে ১৫ বছর আগে জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার আগে দেশ অন্ধকারে ছিল, দেশের রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় ছিল। সেই অবস্থা থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। নতুন প্রজন্মকে এসব বিষয় জানাতে হবে। নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে, মেট্রো রেল হয়েছে, চট্টগ্রামে টানেল নির্মাণ হয়েছে, ঘরে ঘরে আজ বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। দেশের উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি তা বাস্তবায়ন করেন।

তিনি আরো বলেন, পচাঁত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা এবং জাতীয় চার নেতাসহ আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ উল্টো পথে চলতে শুরু করে। ৭ নভেম্বরের পর তা আরও তীব্র গতিতে একাত্তর-পূর্বকালের পাকিস্তানি দর্শনের পথে এগিয়ে যেতে থাকে এদেশ। পাকিস্তানি ভাবধারায় এদেশকে ফিরিয়ে নিতেই ১৫ আগস্ট ও ৩ রা নভেম্বরের মতো পচাঁত্তরের ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়। এসব ঘটনার নেপথ্য নায়ক ছিলেন জিয়াউর রহমান। তার প্রত্যক্ষ মদদে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এডভোকেট ফখরুল ইসলাম, ডাঃ নাজরা আহমদ চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য জাহিদ সারওয়ার সবুজ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সালমা সুলতানা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন। এদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক ও অফিসারের হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ভয়াল এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হায়দারসহ বহু সৈনিক ও অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। যে কর্নেল তাহের বন্দিদশা থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেছিলেন, সেই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহেরকেও জিয়া পরবর্তীতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিলেন।
ক্ষমতা কুক্ষিগত করতেই জিয়ার নেতৃত্বে পচাঁত্তরের ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনীতে গণহত্যা চালানো হয়েছিল। হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির অভ্যুদয়। প্রকৃত অর্থে জিয়াউর রহমান বহু সৈনিক ও অফিসারের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, বন ও পরিবেশ  বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাক আহমদ পলাশ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো: মজির উদ্দিন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাপ মিয়া, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েছ।

মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন: সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, সাইফুল আলম স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনার, সাজোয়ান আহমদ, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হোসেন মাসুদ, এডভোকেট মোস্তফা দিলোয়ার আজহার, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, মইনুল ইসলাম মঈন প্রমুখ।

সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ