মৌলভীবাজারে ঠিকাদার সিরাজুল হত্যার ঘটনায় দুই নির্মাণ শ্রমিক গ্রেফতার
প্রকাশিত:শনিবার, ১৬ সেপ্টে ২০২৩ ০৬:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক:- বকেয়া পাওনা অন্তোষে ঠিকাদার মো: সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (২৮)কে খুনের ঘটনার সাথে জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজনগর উপজেলার শ্যামেরকোনা, (নোয়াগাঁও) গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে আব্দুল মুমিন (২৩) ও মানিক মিয়ার ছেলে জাহির মিয়া (২১)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার দিকে সদর উপজেলার ১০নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ছিকরাইল গ্রামে জয়নাল মিয়ার ছেলে মাহিন আহমদ তাদের বসত বাড়িতে একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ।
পুলিশ তদন্তে জানা যায়, মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) পিতা-মোঃ চুনু মিয়া, গ্রাম মালিকোনা, ৮নং মুনসুরনগর ইউপি, থানা- রাজনগর, জেলা-মৌলভীবাজার রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার এর কাজ করে আসছিল গত ১ বছর যাবত উপজেলার ১০নং নাজিরাবাদ ইউপির ছিকরাইল গ্রামের জনৈক মাহিন আহমদ, পিতা-জয়নাল মিয়া এর বসত বাড়িতে পাকা বিল্ডিং এর বসতঘর নির্মাণ কাজ শ্রমিকদের মাধ্যমে করে আসছে
গত দেড় মাস পূর্বে নির্মাণ কাজের জন্য শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে নিয়োগ করেন। বেশ কয়েকদিন যাবত তার নিয়োগকৃত শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বিবাদীর কাজের মজুরী নিয়ে মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরই সূত্রধরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিট হতে বিকাল অনুমান ৩ ঘটিকার মধ্যবর্তী যেকোন সময় শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম এর মাথায়, ডান গালে, ডান চুখের ভ্রুর উপর, উভয় ঠোঁটের ডান পাশে, থুথুনীর ডান পাশে এবং নাকের অগ্রভাগে কাটা জখম করে হত্যা করে।
লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয় ।
ওসি হারুনূর রশীদ চৌধুরী আরো জানান, পরবর্তীতে মৃত সিরাজুল ইসলাম (২৮) এর ছোট ভাই নুরুল ইসলাম(১৯) উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
উক্ত এজাহারের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় খুনের মামলা দায়ের করে মামলার তদন্তভার এসআই আবুল কালাম চৌধুরী এর ওপর প্রদান করা হয়।
পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম-বার এর নিদের্শনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াছিন রাসেল এর নেতৃত্বে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের জন্য এসআই আবুল কালাম চৌধুরীসহ একটি অভিযানিক টিম গঠন করে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরবর্তীতে আসামীদের দেয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা, লোহার রড, ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ঘটনার বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।