২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
প্রকাশিত:বুধবার, ১৬ আগ ২০২৩ ১০:০৮
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় কক্সবাজারের ৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪৬৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১১ হাজার ৯০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে ৫টি এবং চকরিয়ায় নিহত মোহাম্মদ ফোরকানের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
পুলিশের দায়ের করা ৫টি মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সরকারি কাছে বাঁধা দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। ফোরকানের স্ত্রী হত্যা মামলা করেছেন।
বুধবার (১৬ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম।
এসপি মাহাফুজুল বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার সরকারি কলেজের সামনের ইলিয়াস মিয়া স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। জানাজা শেষে তাদের ঘরে ফিরে যেতে বললে এই ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের ওপর হামলা ও যানবাহনে ভাঙচুর চালান দলটির নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনায় আজ বুধবার বিকেলে কক্সবাজার সদর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানা ২ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
এ মামলার বাদী ও আসামিদের নাম প্রকাশ করতে রাজী হননি পুলিশ সুপার।
এসপি মাহাফুজুল ইসলাম আরও বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে চকরিয়ায় সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে ২টি এবং নিহত ফোরকানের স্ত্রী নুরুচ্ছফা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
পুলিশের বাদী হয়ে দায়ের করা মামলা দুটিতে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নাম না জানা আসামি করা হয়েছে আড়াই হাজার করে মোট ৫ হাজার জনকে।
সংঘর্ষ চলাকালে নিহত ফোরকানের স্ত্রীর করা মামলায় কারও নাম উল্লেখ নেই। ওই মামলায় আড়াই হাজার জনকে নাম না জানা আসামি করা হয়েছে।
চকরিয়ায় পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলার ক্ষেত্রেও এসপি বাদী পুলিশের নাম প্রকাশ করেননি।
এসপি জানান, বুধবার বিকালে পেকুয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায়ও পুলিশ বাদী হয়ে ২টি মামলা দায়ের করেছে। এতে ১৫১ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার ১০০ জন করে দুইটি মামলায় মোট ২ হাজার ২০০ জনকে নাম না জানা আসামি করা হয়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে এই দুটি মামলা দায়ের করেন।
ওসি ওমর হায়দার বলেন, পেকুয়ায় দায়ের হওয়া মামলা দুটি প্রধান আসামি করা হয়েছে পেকুয়া সদর জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মঞ্জুকে।
অফিস :ইস্ট এন্ড, তালতলা ,সিলেট-৩১০০, বাংলাদেশ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এমদাদুল হক
বার্তা সম্পাদকঃ আবু জাবের
মোবাইলঃ ০১৭১১৩৩১০৭০
ইমেইলঃ surmaview24@gmail.com
Helpline - +88 01719305766