৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | ২১শে মার্চ, ২০২৩ ইং
প্রকাশিত:শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩ ০৫:০৩
দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:- সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রতারণা মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে আপন বোন,মা ও ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার(১৬ মার্চ) ভুক্তভোগী এ তথ্য জানান।
উপজেলার বোগলা ইউনিয়নের বহরগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মা,বোন ও ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান।
অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, বহরগাঁও গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিনের ছেলে দুবাই প্রবাসী আতিকুর রহমান। বিগত ২০২০ সালের প্রথম দিকে জীবিকার তাগিদে দুবাই চলে যান। পরবর্তীতে আতিকুর রহমানের রোজগারের টাকা সরল বিশ্বাসে ভগ্নিপতি একই গ্রামের মৃত তাজুদ আলীর ছেলে মনফর আলী কাছে পাঠান। কিন্তু আতিকুর রহমানের চোখের সমস্যার কারণে প্রায় দশ মাস পূর্বে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ভগ্নিপতি ও বোন মাজেদা খাতুনকে তিনি তার সমস্যার কথা বলেন চিকিৎসা করানোর জন্য জমাকৃত টাকাগুলো ফেরত চান এবং মাজেদা খাতুন টাকার কথা অস্বীকার করেন। তখন গ্রামপঞ্চায়েত সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে বিষয়টি অবগত করে বিচার প্রার্থী হই।গত ২৫/০১/২০১৩ইং তারিখে বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এক বিচার শালিস হয়। বিচারে উভয় পক্ষের জবানবন্দি শুনে চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানের পক্ষে রায় দেন। তখন তারা বলে দেন চিকিৎসার জন্য আতিকুর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয় এবং বাকী টাকা আতিকুর রহমানের নামে একাউন্ট করে ভাই-বোন সবাইকে নমিনি করার সিদ্ধান্ত হয় । কিন্তু পরবর্তীতে মুমিনা খাতুন, মনফর আলী, মাজেদা খাতুন বিচারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আতিকুর রহমানকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছে এবং সুনামগঞ্জ কোর্টে মা মুমিনা খাতুনকে বাদী করে মামলা দায়ের করে।
এছাড়াও আতিকুর রহমানের প্রবাসী দুই ভাইয়ের টাকাও আতিকুর রহমানের টাকা ও পিতার মুক্তিযোদ্ধার সম্মানীর ভাতার টাকা ১১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাত করে। উল্লেখ্য যে, গত ১৪/০৩/২০২৩ইং তারিখে আতিকুর রহমান মা মুমিনা খাতুনের কাছে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার অংশ চান। কিন্তু রাতে বাড়ি ফিরে শুনতে পেলাম ভগ্নিপতি মনফর আলী ও বোন মাজেদা বেগম, মা মুমিনা খাতুনকে দু হাতে বেঁধে আমি টাকার জন্য অত্যাচার করেছি বলে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:আরিফ মোর্শেদ মিশু ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Helpline - +88 01719305766