আবু তালহা তোফায়েল:- ‘নতুন বই পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। সেই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেছি। আমরা সবাই নতুন বই পেয়েছি। পুরো বইটাই দেখলাম।’ এভাবেই উচ্ছ্বাসের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন গোয়াইনঘাটের পূর্ণানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ইসরাত জাহান ইকরা।
বছরের প্রথমদিনে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই তুলে দিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজন করে ‘বই বিতরণ উৎসব-২০২৩’।
নানা কারণে এবার বিনামূল্যের পাঠ্যবই সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে সব সংকট কাটিয়ে অবশেষে বছরের প্রথম দিনই নতুন বই পেয়েছে দেশের শিক্ষার্থীরা।রোববার (১ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয় পাঠ্যবই উৎসব। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণের মাধ্যমে শুরু হয় এ উৎসব।
এর আগে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) নতুন শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলছে বই বিতরণ উৎসব-২০২৩।
তবে কিছু শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন কোনো বই না পেয়েও উপস্থিত হয়েছেন। কেউ আবার চতুর্থ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েও পেয়েছেন তৃতীয় শ্রেণির বই। বছরের প্রথম দিনে নতুন বই না পাওয়ায় আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ।
রোববার (১ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বই বিতরণ উৎসব-২০২৩’ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সাড়ে ৩৪ কোটির বেশি কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি মিলিয়ে এই স্তরে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার এবং মাধ্যমিক স্তরে স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার বই ছাপা হচ্ছে ২ লাখ ১২ হাজার ১৭৭ কপি।