১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
প্রকাশিত:সোমবার, ১৯ সেপ্টে ২০২২ ০৫:০৯
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:- শসা চাষ করে আশানুরুপ ফলন পেয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সবজি চাষি মৌরস আলী (৩৫)। ইতিমধ্যে তিনি খরচ পুষিয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। এ মৌসুমে পুঁজির তিন গুণ লাভের আশা রয়েছে তার। ধান চাষ ও গৃহস্থলির পাশাপাশি স্বল্প খরচ ও পরিশ্রমে ১০ শতক জায়গায় শসার বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন ওই চাষি।
সরেজমিন উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের মৌরস আলীর নিজ গ্রাম পাঠাকইনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের মূল সড়কের সাথে শসার ক্ষেত রয়েছে তার। প্রত্যেক গাছেই ঝুলছে শসা আর শসা। ওই দিনই তিনি ৮ হাজার টাকার শসা বিক্রি করেন ব্যাপারিদের কাছে। শসা ক্ষেতের পাশাপাশি লাগিয়েছেন লাউ গাছও।
মৌরস আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ধান চাষের পাশাপাশি নানা জাতের সবজি চাষ করে আসছিলেন তিনি। এবার ১০ শতক জায়গা বর্গা নিয়ে গেল জুলাই মাসের ২০ তারিখ ১০০ গ্রাম উন্নত জাতের শসার বীজ বপন করেন। এর ৪০ দিনেই আসে ফসল। এ ক’দিনে বিক্রি করেছেন ১৮ হাজার টাকার শসা।
আগামী পুরো এক মাস এভাবে ধারাবাহিক আসবে ফসল। শসায় খরচ হয়েছে তার ১৭ হাজার টাকা।
তিনি আশাবাদি, কম করে হলেও খরচ বাদে, এ ক্ষেতে থেকে ৬০-৬৫ হাজার টাকার শসা বিক্রি করতে পারবেন। একই ক্ষেতের একপাশে ৪০টি লাউ গাছও রেপাণ করেছেন তিনি। রোপনে খরচ হয়েছে ৭-৮হাজার টাকা।
লাউ থেকে মুনাফার স্বপ্ন দেখছেন ২৫-৩০ হাজার টাকার। প্রকৃতি সহায় থাকলে একই জমিতে শসা ও লাউ চাষে মাত্র ৪ মাসে ৮০-৯০ টাকা মুনাফা করবেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ইচ্ছে থাকলে অল্প জায়গায় অন্যান্য কাজের পাশাপাশি স্বল্প সময়ে সবজি চাষের মাধ্যমে দ্বিগুণ মুনাফা করা সম্ভব।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, বিশ্বনাথ উপজেলায় চাহিদার থেকে কম সবজি উৎপাদিত হয়। এজন্য সারা বছর এখানে সবজির ভালো দাম পাওয়া যায়। উপজেলায় শীতকালে শসাসহ অন্যান্য সবজি কিছু পরিমাণে উৎপাদিত হলেও গ্রীষ্মকালীন সবজি অপ্রতুল।
তিনি আরও বলেন, চাষি মৌরস আলীর শসা ক্ষেতটি অনেক ভালো হয়েছে। তাকে আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি। তার মতো অন্যরাও এগিয়ে এলে বিশ্বনাথে সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভাবেও লাভবান হবেন অনেকে।
অফিস :ইস্ট এন্ড, তালতলা ,সিলেট-৩১০০, বাংলাদেশ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এমদাদুল হক
বার্তা সম্পাদকঃ আবু জাবের
মোবাইলঃ ০১৭১১৩৩১০৭০
ইমেইলঃ surmaview24@gmail.com
Helpline - +88 01719305766