১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
প্রকাশিত:রবিবার, ০৪ সেপ্টে ২০২২ ১০:০৯
বিশেষ প্রতিনিধি:- কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ গত ১৮ আগস্ট ওনার ফেইসবুক আইডি থেকে মিষ্টি বিতরণের কয়েকটি দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন, ক্যাপশনে লিখেন ইউনিয়ন পরিষদ কে রাস্তা পাকাকরণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ও আমার ইউনিয়নে ৮ টি পাকা রাস্তা, ১০০ টি কালর্ভাট সহ ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় জনসাধারণ সহ সোশ্যাল মিডিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল আর সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী অনেকেই ফেইসবুকে লিখেন এত বিশাল টাকার বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদে নেই। ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ গুজব বলে মন্তব্য করেন। কর্মাধা ইউনয়নের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ আবারও ৩১ অগাস্ট প্রৌকশলীর প্রস্তবিত ১০০ কোটির বরাদ্দের গেজেট কপির ছবি দিয়ে লিখেন ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ হয়েছে। ফেইসবুকের সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনা এটা হিংসাত্মক ও যারা এ বিষয়ে বির্তক সমালোচনা করছে তারা মূর্খ ও অজ্ঞ। এ বরাদ্দ বাস্তবায়ন হবে এ মন্তব্য করে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন।
চেয়ারম্যানের ফেইসবুকে এমন স্ট্যাটাস দেখে স্থানীয় জনসাধারণ অনেকেই জানিয়েছেন যে গত ৩১ অগাস্ট আরেকটি স্ট্যাটাস দেন, প্রৌকশলীর প্রস্তবিত ১০০ কোটির বরাদ্দের গেজেট কপি। কিন্ত এই বরাদ্দের গেজেট কপিতে কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের ১০ কোটি টাকার কথা উল্লেখ নেই। এই গেজট কপিতে প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে সমগ্র উপজেলার উন্নয়ন প্রকল্পের এমপি মহোদয়ের ডিও লেটার মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত কপি পূরণ করে কতৃপক্ষের নিকট ২১ জুলাইয়ের ভিতরে প্রেরণ করবেন। কিন্তু চেয়ারম্যান ১০ কোটি টাকার বরাদ্দের ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডের তারিখ ১৮ অগাস্ট উল্লেখ করে প্রস্তবিত কপি প্রকাশ করেন। তাহলে প্রকৌশলীর প্রস্তাবিত গেজেট কপি আর চেয়ারম্যাননের ফেইসবুকে প্রস্তবিত কপি প্রকাশ করেছেন বরাদ্দের কপির তারিখের সাথে কোনো মিল নেই। এই বরাদ্দ ভুয়া ও প্রতারণা মূলক মনে করেন এলাকার সচেতন নাগরিক ।
চেয়ারম্যনের বিরুদ্ধে কর্মধার হাট বাজারে চায়ের দোকানে সচেতন নাগরিকদের সমালোচনা আরো বেড়েই চলেছে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ২০০৪ সালে জামাত শিবির থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন, বিগত নির্বাচনে তিনি নৌকা মার্কা না পাওয়ায় সতন্র নির্বাচন করে বিজয়ী হন। নৌকা বিদ্রোহী নির্বাচন করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার না করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সদস্য করা হয়। চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ বিভিন্ন বির্তক মূলক কর্মকান্ড করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে কোন মিল নেই। শোকের মাসে ইউনিয়ন পরিষদে মিষ্টি বিতরন করে তিনি উল্লাস করেন, যেখানে দলীয় কর্মসূচি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবিবুর রহমানের জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করার কথা সেখানে তিনি শিবিরের দেওয়া সংবর্ধনায় মগ্ন তিনি মিষ্টি বিতরন করে উল্লাস করছেন। ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর যেমটা করেছিল খন্দকার মোশতাক। আমাদের দলের নিবেদিত কর্মীদের মনে দাগ লেগেছে। কারণ শোকবহ অগাস্টে সংবর্ধনা ও এই আনন্দ উৎসবে চেয়ারম্যানের উপস্থিতি আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মীরা মেনে নিতে পারছে না। এছাড়া জামাত ও জামাত শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন বলে অভিযোগ করেন ঐ প্রভাবশালী নেতা।
এ বিষয়ে কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ জানান, তিন সপ্তাহ আগে প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধা আমাকে জানান ‘আমার গ্রাম,আমার শহর’ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ পাওয়া যাবে। এজন্য স্কীম আকারে প্রকল্প তৈরি করে দিতে হবে। আমি তাঁর কথায় প্রকল্প তৈরি করে দিয়েছিলাম। বিষয়টি জেনে আমার ইউনিয়নের বাসিন্দারা আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। পরে জানতে পারি এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে এরকম বিশাল বাজেটের কোন বরাদ্দ নেই। তার এরকম প্রতারণায় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বিভ্রান্তিতে পড়েছি।
অফিস :ইস্ট এন্ড, তালতলা ,সিলেট-৩১০০, বাংলাদেশ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এমদাদুল হক
বার্তা সম্পাদকঃ আবু জাবের
মোবাইলঃ ০১৭১১৩৩১০৭০
ইমেইলঃ surmaview24@gmail.com
Helpline - +88 01719305766