কুলাউড়া কর্মধায় ১০ কোটি টাকার ভুয়া প্রকল্প বিতর্কে চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ৩০ আগ ২০২২ ০৮:০৮

কুলাউড়া কর্মধায় ১০ কোটি টাকার ভুয়া প্রকল্প বিতর্কে চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ

বিশেষ প্রতিনিধি:-  কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ (গত বৃহস্পতিবার ১৮ আগস্ট ২০২২) মিষ্টি বিতরনের কয়েকটি ছবি দিয়ে ফেইবুকে লিখেন, কর্মাধা ইউনিয়ন পরিষদকে পাকা রাস্তা করার ক্ষমতা প্রদানের জন্য ইউনিয়নে প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

পাকা রাস্তা ৮টি, কালবার্ট প্রায় ১০০ টি বাজারে সেডঘর, গণশৌচাগার, পরিষদ ভবনে গেইট নির্মাণ ইত্যাদি প্রজেক্ট পাওয়ায় এলাকাবাসীরদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদের পক্ষ থেকে তিনি মিষ্টি বিতরন করেন এ খবর ছড়িয়ে পড়ে সোস্যাল মিডিয়া ফেইসবুকে, এ নিয়ে চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদের অনেক প্রশংসা করেন এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনাও প্রধান করেছেন। তবে চেয়ারম্যানের প্রশংসার পাশাপাশি এই ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ ভুয়া দাবি করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা ও এলাকাবাসী।

কুলাউড়া উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক কর্মধা ইউনিয়নের বাসিন্দা ফয়জুর রহমান ফয়েজ তিনি ফেইসবুকে লিখেছেন কর্মধা ইউনিয়নে যে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা চেয়ারম্যান বলেছেন এটি সব ভুয়া ও বানোয়াট, তিনি বলেন, আমার গ্রাম হবে শহর ১০ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ প্রকল্প এরকম কোন বিশাল বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদে নেই। এই ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ মিথ্যা বলে কর্মধা ইউনিয়নের আরো অনেকেই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদের সমালোচনা করেন।

এই ইউনিয়নের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম তাজ বলেন আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ষড়যন্ত্রের শিকার সরল মনে উপজেলা প্রকৌশলীকে বিশ্বাস করে চেয়ারম্যান ১০ কোটি টাকার বরাদ্দের বিষয়ে ফেইসবুকে লিখেছিলেন, তবে চেয়ারম্যান আগামীতে সব জেনে শুনে প্রচার করবেন।

কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চশমা প্রতিক নিয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন, আওয়ামীলীগ থেকে চেয়ারম্যানকে বহিস্কারও করা হলে, পরে অনেক লবিং করে উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সদস্য পদ পান। এখন বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদে আছেন। তারপরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সমালোচনার শেষ নেই , আগস্ট মাসে উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে, যেমন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, শোক রেলী, ১৫ আগস্টে শ্রদ্ধা নিবেদন আরো অনেক কর্মসূচি রয়েছে।

চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ দলীয় কর্মসূচি না করে তিনি জামাত শিবিরের দেওয়া গনসংবর্ধায় ব্যস্ত এসব কর্মকান্ডের জন্য স্থানীয় ইয়উনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানান।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের নামে প্রায় ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প জমা দিতে বলেন উপজেলা প্রকৌশলী। প্রকল্প তৈরী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দিলে প্রকৌশলী আমিনুল জানান এটি সরাসরি তার কাছে জমা দিতে হবে। তখন আমার মনে সন্দেহ হয়, চেয়ারম্যান মুহিবুল আরো বলেন, কয়েক দিন আগে প্রকৌশলী জানান একটি প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ পাওয়া যাবে, প্রকল্প তৈরী করে দিয়েছিলাম বিষয়টি আমার ইউনিয়নের বাসিন্দারা জেনে আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করেছেন, পরে জানতে পারি এ প্রকল্পের আওয়াতায় এরকম বিশাল বাজেটের কোনো বরাদ্দ নেই। প্রকৌশীর এরকম প্রতারনায় আমার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আমি বিভ্রান্তিতে পড়েছি, আমি এলাকার জনগনের কাছে কি জবাব দেব আমার ভাষা নেই।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ