১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
প্রকাশিত:শনিবার, ২৫ জুন ২০২২ ০৮:০৬
মো: আলী হোসেন খাঁন, জগন্নাথপুর থেকে:- ভারি বৃষ্টিপাত ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীসহ সকল শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা বাসী।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পানিতে শতভাগ প্লাবিত হয়েছিল পৌর শহরসহ উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক গ্রাম।
বানভাসিদের বাড়ী ঘর তলিয়ে যাওয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পৌরসভা ও উপজেলার ইউএনও’র অফিস সহ সকল অফিসে। এই ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জগন্নাথপুর বাসী।
এদিকে পৌরসভায় আশ্রয় নেওয়া পরিবারের সাথে অশোভন আচরণ করেন পৌর মেয়র আক্তার, পৌরসভায় আশ্রয় নেওয়া এলাকার কয়েছ মিয়া অভিযোগ করে বলেন আমাদের ঘরে এখন হাঁটু পানি রয়েছে আমার ছেলে সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়ে পৌরসভায় আশ্রয় নিয়েছি, আজ পৌর মেয়র আমাদেরকে এসে বলেন পৌরসভা থেকে চলে যেতে, রবিবার থেকে তাদের অফিস চলবে, ভালো ভাবে চলে না গেলে বেইজ্জত হয়ে ভেড় হতে হবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র আক্তার হোসেনকে পৌরসভায় না পেয়ে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি না, বলেন অফিসে এসে কথা বলার জন্য।
এদিকে গত ৯ দিনের একটানা বন্যায় মানুষ, গবাদিপশু, হাঁসমুরগী, খাদ্যশষ্য, গোখাদ্য, পরনের কাপড় চোপড়, বইপত্র সিলিন্ডারসহ গ্যাসের চুলা, লাকড়িসহ জ্বালানী ও কাচা আধাপাকা বসতবাড়ী সবকিছুই পানির স্রোতে ভেসে যায়।
এতে মানুষের কয়েক কুটি টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানিবন্দি মানুষ।
এই দুর্যোগের সময় জগন্নাথপুর বাজারে নিত্যপণ্যের দাম দিগুণ বাড়িয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
১৯৮৮ ও ২০০৪ সালে বন্যার অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে ২০২২ ভয়াবহ বন্যায়।
সুরমাসহ সবকটি শাখা নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু অবস্থার যে এতটুকু অবনতি হবে তা কেউই ভাবতে পারেনি।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে চিলাউড়া, পাটলী, রানীগঞ্জ, পাইলগাঁও কলকলিয়া, সৈয়দপুর, আশারকান্দি, মিরপুর সহ সবকটি ইউনিয়ন বন্যা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে প্রায় ১০০ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানির পাম্প তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট পড়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম বলেন পানি এখন তেমন ভাবে কমেনি, এই বিষয়টা দুঃখ জনক আমি গুরুত সহকারে দেখছি।
অফিস :ইস্ট এন্ড, তালতলা ,সিলেট-৩১০০, বাংলাদেশ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এমদাদুল হক
বার্তা সম্পাদকঃ আবু জাবের
মোবাইলঃ ০১৭১১৩৩১০৭০
ইমেইলঃ surmaview24@gmail.com
Helpline - +88 01719305766