প্রসঙ্গ মেয়র আরিফ ; গরম ভাতে বিলাই বেজার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২ ০৮:০৬

প্রসঙ্গ মেয়র আরিফ ; গরম ভাতে বিলাই বেজার

মেয়র আরিফকে নিয়ে আমার একটি পোস্টে মন্তব্যের ছড়াছড়ি দেখে আমি খুবই খুশি ও অবাক হয়েছি। অথচ সরকারের উন্নয়ন নিয়ে কোন পোস্ট দিলে লাইক, কমেন্ট খুব কম পাওয়া যায়। কেননা দেশ ও জাতির উন্নয়নে তাদের কিছুই যায় আসে না, ভাইদের উন্নয়ন হলেই ওরা মহাখুশি।

আমি সচরাচর কমেন্টের উত্তর দেই না, এতে সময়ের অপচয় মাত্র। তবে বেয়াদবি বা গালাগালি করলে সরাসরি ব্লক করে দেই। আরিফ বিষয়ক পোস্টের কমেন্টগুলো ২/৩টি পড়া ছাড়া বাকিগুলো পড়ার প্রয়োজনীয়তাবোধ করিনি। এই মাথামোটারা বুঝতেই পারছে না, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বন্ধু জাকির হোসেন যখন মেয়র আরিফকে ভর্ৎসনা করে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে খুশি করার কসরত করছিলো তখন নেত্রী জাকিরের বক্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে মেয়রকে ডেকে এনে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেন ও প্রশংসা করেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধীদলের একজন মেয়রের কাজের প্রশংসা করেন তখন জনগণের নিকট আরিফের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা হাজার গুণ বেড়ে যায়। ভিডিওতে বেশ কয়েকজনের বক্তব্য শোনার সৌভাগ্য হয়েছে। জাকির, ইমন কিংবা শফিকুর রহমান চৌধুরীর বক্তব্য যে প্রধানমন্ত্রী মনযোগ সহকারে শুনেননি তা বুঝতে মাথামোটাদের কষ্ট হলেও সাধারণ মানুষ কিন্তু বুঝতে পেরেছে। জাকিরের বক্তব্যের মাঝেই আরিফকে ডেকে এনে বক্তব্য শোনা কিসের ইঙ্গিত? আর যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে তো তিনবার ধমক দিয়েও বসাতে পারেননি। আরিফের বক্তব্য তিনি মন দিয়ে শুনেছেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। আরিফের বক্তব্যও ছিল গোছালো, বাস্তব ও সময়োপযোগী। বাকিদের বক্তব্য ছিল বেশিরভাত তেলমারা ও গতানুগতিক। যা বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনোই পছন্দ করেন না।

শুধু প্রধানমন্ত্রী কেন, কয়েক মাস আগে সিলেট-১ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন যখন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগকে পাশ কাটিয়ে আরিফের দেওয়া গণ সংবর্ধনায় যোগ দেন ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘লজ্জা হওয়া উচিত বলে’ ভর্ৎসনা করেন তখন কি আরিফের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা কয়েক শতগুণ বেড়ে যায় না?

কেউ কেউ ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কথা বলেছেন? আওয়ামী লীগ বিশেষ করে সিলেটের আওয়ামী লীগ কি কখনো ঐক্যবদ্ধ ছিল না আছে? যদি ঐক্যবদ্ধ হতো তাহলে কি দুইবার বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান আরিফের নিকট পরাজিত হতেন? ভবিষ্যতেও কি আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন লক্ষ্মণ পরিলক্ষিত হচ্ছে? কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে নৌকার প্রার্থী কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতেন। কেননা, সেখানে আওয়ামী লীগের অনেকবেশি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে।

জানি এসব কথা মাথামোটাদের মগজে ঢুকবে না। তবুও লিখতে হয় বিবেকের তাড়নায়। আরেকটি কথা, আমার আনুগত্য বঙ্গবন্ধু কন্যাদের প্রতি, কোন ভাই বা দাদার প্রতি নয়। সুতরাং যা সত্য ও বাস্তব তা লিখতে কুন্ঠাবোধ করি না। কে কি ভাবলো, কে কি বললো পরোয়া করি না। কেউ মামলা করলেও কিছু তা নিয়েও ভাবি না।

 

সুজাত মনসুর এর টাইমলাইন থেকে

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ