দোয়ারাবাজারে বন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ : ৯ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত
প্রকাশিত:বুধবার, ১৫ জুন ২০২২ ০৮:০৬
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে:- মঙ্গলবার রাতভর লাগাতার ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বুধবার সকাল থেকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন উপজেলার ৯ ইউনিনের শতাধিক গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
এদিকে খোদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসাসহ উপজেলা সদরের অধিকাংশ বাসাবাড়ি, অফিসপাড়া ও সড়কে হাঁটু ও কোমর সমান পানি থৈ থৈ করছে।অধিকাংশ গ্রামীণ কাঁচা ও পাকাসহ প্রধান সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে বিচ্ছিন্ন রয়েছে সড়ক যোগাযোগ। উপচে পড়া ঢেউয়ের আঘাতে হাওরপাড় ও ব্রিটিশ ট্রামরোড সংলগ্ন কাঁচা ও আধাপাকা ঘরসমূহ ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতিমধ্যে ধসে গেছে অনেক কাচা ঘর।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গোজাউরা হাওড়ে নৌকাডুবিতে স্কুলে পড়ুয়া দুই ভাইবোনের সলিল সমাধি ঘটে। আহত হয় আরো তিনজন। এসময় ঝড়ে উপড়ে ফেলে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের সিরাজপুর, নতুন সিরাজপুর ও ঢালারপাড় এলাকার অনেক গাছপালা, উড়িয়ে নেয় অনেক ঘরের চালা।
অপরদিকে গবাদি পশু পাখি ও বানভাসি পরিবার পরিজনের আহাজারিতে ক্রমশ ভারি হচ্ছে আকাশ-বাতাশ। বিনিদ্র রাতদিন আতঙ্কে কাটছে সুরমা, বগুলা, লক্ষ্মীপুর, নরসিংপুর, বাংলাবাজার, মান্নারগাঁও, দোহালিয়া, পান্ডারগাও ও দোয়ারা সদর ইউনিয়নের বানভাসি মানুষের।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানভীর আশরাফী চৌধুরী বাবু, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম আম্বিয়াসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গত তিনদিন ধরে বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় বানভাসিদের মধ্যে বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা করেন ইউএনও ফারজানা প্রিয়াংকা।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, বন্যার্তদের জন্য ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাউবো’র সাথে যোগাযোগ ছাড়াও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংসহ কন্ট্রোলরুম খোলা আছে বলেও তিনি জানান।