বিয়ানীবাজারে গলায় ফাঁস দিয়ে আহমদ আল আবী (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। রবিবার (১২ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার শ্রীধরা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য নোমান আহমদের পুত্র। নিহত আবী খলিল চৌধুরী আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সপ্তম শ্রেণি ছাত্র।

পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, পরিবারের সবাই আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে ছিলেন। বাড়িতে একা ছিল আহমদ আল আবী। সে ঘরের প্রবেশ ফটক (কেসি গেইট) তালা দিয়ে ঘরের ভেতর একা ছিল। ঘরে দরজা বন্ধ পেয়ে তাকে অনেক ডাকাডাকি করা হয়। কোন সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা খুলে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

এ সময় ঘর থেকে নিহত আহমদ আল আবী এর ট্যাব জব্দ করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, সে নিজের ট্যাব দিয়ে ব্লু হোয়েল গেম খেলতে ছিল। এ গেম খেলেই হয়তো আত্মহননের পথ বেঁচে নেয়। লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

আবীর পরনে তার বড় বোনের পায়জামা, কামিজ ও ওড়না ছিল। লাশটি ঝুলন্ত অবস্থায় ওড়না গিয়ে মুখ ঢাকা ছিল।

এবিষয়ে, বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিল্লোল রায় বলেন, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি স্পষ্ট। তবে কি কারণে সে আত্মহনন করেছে সেটি ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে জানা যাবে। তিনি বলেন, গেম খেলার বিষয়টি আমরা জেনেছি, সেটিও তদন্ত করবো।