নাজমিনের খুনীদের গ্রেপ্তার না করলে তীব্র আন্দোলন

প্রকাশিত:রবিবার, ০৫ জুন ২০২২ ০৯:০৬

নাজমিনের খুনীদের গ্রেপ্তার না করলে তীব্র আন্দোলন

সুরমাভিউ:-  সিলেট সদর উপজেলার রায়েরগাওয়ের নলেজ হোম একাডেমির শিক্ষিকা, নববধু নাজমিন আক্তারের খুনীদের গ্রেপ্তার না করলে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। রোববার বিকেলে টুকেরবাজারের তেমুখী পয়েন্টে মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তারা এ হুশিয়ারী দেন।

এ সময় তারা বলেন- নাজমিন খুনের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো খুনীরা গ্রেপ্তার না হওয়া হতাশাজনক। এজন্য বক্তারা পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করে বলেন- ঘটনার পর থেকে নাজমিনের পরিবার ঘটনাটিকে হত্যাকান্ড বলে দাবী করেছিলো। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ হত্যা মামলা দায়ের করলেও আসামি ধরতে টালবাহানা করে। প্রধান আসামি নাজমিনের স্বামী নাঈম উদ্দিন সহ অন্যরা সুযোগ পেয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে আন্তরিক না হওয়ার কারনে এখনো আলোচিত এ হত্যা মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি বলে দাবি করেন তারা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জালালাবাদ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জৈনউদ্দিন। শাহ খুররম ডিগ্রী কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবায়দুল্লাহ ইসহাক। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জালালাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল আহমদ, শাহ খুররম ডিগ্রী কলেজের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক কমর উদ্দিন, সিলেট সরকারী কলেজের সাবেক জিএস ফারুক আহমদ, শাহজালাল বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফখর উদ্দিন, নলেজ হোম একাডেমির প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান, জালালাবাদ ইউনিয়নের মেম্বার মন্তাকা আহমদ ও  মো. লিটু মিয়া, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার সাবেরা বেগম, হাসনা বেগম, সাহেদা খাতুন, নিহত নাজমিন আক্তারের শোকাহত বাবা আব্দুস সাত্তার, মা শেফালী আক্তার, ভাই মো, মিজান উদ্দিন, মামা দুলাল আহমদ প্রমুখ।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে নলেজ হোম একাডেমী রায়ের গাওয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে পৃথক ব্যানারে এসে অংশ নেন।

গত ৩০ শে মে মইয়াচর গ্রামে স্বামী বাড়িতে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালিয়ে খুন করা হয় নাজমিন আক্তারকে। এ ঘটনায় ৩১ শে মে জালালাবাদ থানায় যৌতুকের দাবিতে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত নাজমিন আক্তারের পিতা আব্দুস সাত্তার। মামলায় আসামি করা হয়েছে নাজমিনের স্বামী নাঈম উদ্দিন, তার ভাই, ফরহাদ উদ্দিন, নাসিম উদ্দিন, নাহিদ উদ্দিন, পিতা সাইফ উদ্দিন, মা রেহেনা বেগম ও খালা রুমি বেগমকে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ