কানাইঘাটে পুলিশের সহযোগিতায় ভুমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার, ৩০ মে ২০২২ ১০:০৫

সুরমাভিউ:-  কানাইঘাটের উত্তর বাজারে কোটি টাকার জমি দখলে নিতে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই মোসাহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে ডিআইজির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। গত রোববার বিকেলে ভুমির মালিক মো. আলীম উদ্দিন এ অভিযোগ করেছেন।

ভুমির মালিক আলীম উদ্দিন অভিযোগে উল্লেখ করেছেন- কানাইঘাটের উত্তরবাজারে তাদের মৌরসী সূত্রে প্রাপ্ত ৬ শতক দশমিক ৬ পয়েন্ট ভুমি রয়েছে। ওই ভুমির বর্তমান মুল্য প্রায় কোটি টাকা। ওই ভুমি দখলে নেওয়ার পায়তারা শুরু করেন কুওড়ঘড়ি এলাকার তাহির আলী ও তার সহযোগিরা। তারা জোরপূর্বক ওই ভুমি দখলে নিতে চায়। এ ঘটনায় ২০২১ সালে কানাইঘাট থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়। থানায় কোনো সহযোগিতা না পেয়ে পরবর্তীতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করেন ভুমির মালিক আলীম উদ্দিন। মামলার পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভুমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে এবং তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন। কানাইঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, ওসি তাজুল ইসলাম, এসআই সোহেল মাহমুদ ও এএসআই মোশাহিদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পৌছালেও তারা বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত না করে মামলার বাদির বিপক্ষে মাত্র দুই দিনের মাথায় রিপোর্ট প্রদান করেন। রিপোর্টটি যথাযথভাবে তদন্ত না হওয়ায় আলীম উদ্দিন রিপোর্টের উপর নারাজি দেন।

এ ঘটনার পর হাইকোর্টে রিট করেন আসামি পক্ষ তাহির আলী। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পেয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উভয়পক্ষকে হাইকোর্টের পরবর্তী নিদের্শ আসা পর্যন্ত উভয়পক্ষকে স্ব স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ তাহির আলী ও তার সহযোগিরা সেই নির্দেশ অমান্য করে ভুমি দখলে নিতে ঘর নির্মান শুরু করে।

আলীম উদ্দিন জানান- জোরপূর্বক ঘর নির্মান শুরু করলে আনিসুর রহমান বাদী হয়েছে কানাইঘাট থানায় গত ১৮ই এপ্রিল ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় জিডি করেন এবং ২০ শে এপ্রিল সিলেটের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়। একই সময় আমাদের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় তাহিরের ভাই মাহমদ আলী বাদি হয়ে একটি জিডি করেন। উভয় জিডির তদন্তভার পান এএসআই মোসাহিদ মিয়া। কিন্তু তিনি আলীম উদ্দিনের পক্ষের জিডির তদন্ত না করে ভুমিখেকোদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দায়ের করা জিডির রিপোর্ট প্রদান করেন। এরপর আদালতে মামলাটি নন জিআর মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।

আলীম উদ্দিন জানিয়েছেন- মাহমুদ আলীর দায়ের করা জিডি সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। পুলিশ জিডি গোপন করে আমাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছে। এর কারন হচ্ছে; আমাদের হয়রানী করে ভুমিখেকোদের ভুমি দখলে সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। বর্তমানে জোরপূর্বক ওই ভুমিতে ঘর নির্মানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান- পরবর্তীতে এ নিয়ে এএসআই মোসাহিদ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি হুমকি সহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলে জানান আলীম উদ্দিন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ