এশিয়ার বর্জ্য সংকট বৃদ্ধিতে প্লাস্টিকের মিনিপ্যাক ব্যাপক ভূমিকা!

প্রকাশিত:রবিবার, ২৯ মে ২০২২ ০১:০৫

এশিয়ার বর্জ্য সংকট বৃদ্ধিতে প্লাস্টিকের মিনিপ্যাক ব্যাপক ভূমিকা!

একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের স্যাশে ব্যবহারের ফলে পরিবেশের উপর যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে তা সম্পর্কে
জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং জনগণকে তা ব্যবহার বন্ধ করার জন্য উৎসাহিত করতে, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন- এসডো সব ধরণের একবার-ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধকরণের লক্ষ্যে ও জনসমর্থন অর্জনের জন্য মোবাইল ক্যাম্পেইন এর আয়োজন করেছে।

২২ মে, ২০২২ তারিখে দিনব্যাপী ঢাকা শহরের একাধিক স্থানে এই প্রচারণা চালানো হয়।

সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গন থেকে ক্যাম্পেইটি শুরু হয়। চার সদস্য এবং দুইজন স্বেচ্ছাসেবকের সমন্বয়ে গঠিত এসডো টিম একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক স্যাশে ব্যবহারের ক্ষতিকর পরিণতি সম্পর্কে জনগণকে জানিয়ে তাদের সমর্থন ও স্বাক্ষর সংগ্রহ করে। অধিকাংশ মানুষ এসডোর এই উদ্যোগের সমর্থন করেন এবং সেই সাথে পরিবেশের উপর প্লাস্টিক স্যাশের বিরুপ প্রভাব সম্পর্কে জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এছাড়াও তারা প্রস্তুতকারকদের প্লাস্টিক স্যাশের বিকল্প খুজে বের করার পরামর্শ দেন। তারা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক যেমন, স্যাশে, স্ট্র, কাটলারি, বোতল নিষিদ্ধ করার জন্য আইন পাস করতে এবং পণ্য পুনরায় ডিজাইন করতে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানায়। এই ক্যাম্পেইন এ জনগণ তাদের স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে সকল একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য নিষিদ্ধ করার পক্ষে সমর্থন প্রদর্শন করেছে।

সুপরিচিত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের কফি ক্রিমার, বিস্কুট, লন্ড্রি ডিটারজেন্টের প্লাস্টিকজাত প্যাকেজিং যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হচ্ছে, এসব প্যাকেজিং গুলো এশিয়ার মধ্যে পরিবেশগত উদ্বেগের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া সাধারনত ছোট স্যাশে গুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নিম্নআয়ের ভোক্তারা বেশি ক্রয় করে, যার কারণে এসব স্যাশে বেশি তৈরী করা হয়। স্যাশে বর্তমানে অধিকাংশ মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহৃত পণ্য, যা থেকে উৎপন্ন বর্জ্য আমাদের জন্য অনেক বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।

জনগণ তাদের স্বেচ্ছায় দিনব্যাপী এই মোবাইল ও স্বাক্ষর ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহন করেছে। এই পিটিশনে প্রায় ছয়শত
মানুষেরও উপরে স্বাক্ষর করেছিল। ক্যাম্পেইনটি টিএসসি থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, গুলশাল লেক, সংসদ ভবন হয়ে বিকেল ৫টার দিকে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে শেষ হয়।

এসডো সফলভাবে কমিউনিটি সচলতা ও জনসচেতনা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা চালিয়ে আসছে। ১৯৯০ সালে এসডো
পলিথিন/প্লাস্টিক বিরোধী ক্যাম্পেইন শুরু করে, যার ফলে দেশব্যাপী পলিথিন শপিং ব্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এরপর থেকে এসডো জৈব বৈচিত্র্য নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এসডো সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে পলিথিন বিরোধী আন্দোলন শুরু করে, যার ফলে ২০০২ সালে বাংলাদেশে পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। এসডোর ক্রমাগত প্রচেষ্টার কারণে, বাংলাদেশ হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সালের মধ্যে উপকূলীয় এলাকা থেকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যগুলো পর্যায়ক্রমে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এসডো বাস্তবরূপে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যগুলোকে নিষিদ্ধ করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।