ছাতকে ছায়েমের বিরোদ্ধে অপপ্রচার করায় খান সেলিম ও ফয়সল কাদির সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রি ২০২২ ১০:০৪

ছাতকে ছায়েমের বিরোদ্ধে অপপ্রচার করায় খান সেলিম ও ফয়সল কাদির সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

ছাতক প্রতিনিধি:-  সুনামগঞ্জে ছাতকে পারিবারিক দন্ডের জেরে এ আর ছায়েমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করায় খান সেলিম ও ফয়সল কাদির সহ কয়েকটি ফেইসবুক আইডি ও ফেইসবুক পেইজ সহ কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে।মাননীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল সিলেটে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানাযায় এ আর ছায়েম দীর্ঘদিন যাবত দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধির কাজ করার সুবাদে পত্রিকাটির জেলা ব্যুরো প্রধানের দায়ীত্ব প্রদান করেন সম্পাদক খান সেলিম রহমান।

এতে গত ১৮/৯/২০২১ ইং তারিখে গোবিন্দগঞ্জে সুনামগঞ্জ জেলা ব্যুরো অফিস উদ্বোধন করতে এসে অফিস ভাড়াসহ অফিস স্টাপ ও প্রতিনিধি নিয়োগ করার ফরামর্শ দেন তিনি। সেদিন অফিস উদ্বোধন শেষে ছায়েমের বাড়ীতে গিয়ে আর ছায়েমের শালিকা চাদনীকে খান সেলিমের ছোট ভাই সোহাগের জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে বিগত ১২/১০/২০২১ তারিখে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক রেজিষ্ট্রারী কাবিনমুলে বিবাহ কাজ সম্পন্ন হয়।পরবর্তীতে চাদনী জানতে পারে তার স্বামী মাধকাশক্ত এমনকি চাদনীকে বিভিন্ন সময় মারপিট করায়, সে তার পিত্রালয়ে চলে আসে।

এ বিষয়ে স্বামী সোহাগের বিরুদ্ধে মাননীয় সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত সুনামগঞ্জে,পারিবারিক মামলা নং ০৭/২০২২ ইং (ছাতক)দায়ের করে চাদনীর পরিবার।এ মামলা তুলে নেওয়া সহ চাদনীকে তার স্বামীর নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাঁদনির দুলাভাই ছায়েমকে চাপ প্রয়োক করা হয়।এবিষয়ে ছায়েম অপারগতা প্রকাশ করিলে,তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারসহ মামলা হামলার হুমকী দেয় সোহাগের পরিবার। এসব দন্ড সমাদান দিতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার দায়ীত্ব থেকে বহিস্কার করা হয় ছায়েমকে যাহা বিভিন্ন অনলাইন গনমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে সম্পাদক খান সেলিমকে অনুরোধ করে ছায়েম।

এতে বিগত ২৬/০৩/২০২২ ইং তারিখে গোবিন্দগঞ্জস্থ অফিসে আসেন খান সেলিম ও সিলেটে পুলিশের ভিডিও করে ভাইরাল হওয়া কতিথ সাংবাদিক ফয়সাল কাদির। এসময় মামলা তুলে না নিলে এ আর ছায়েমের সঙ্গে ২০১২ সালে সংগঠিত একটি অপ্রিতিকর ঘটনার ভিডিও স্যোসাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়ে মানহানি করার হুমকী প্রদান করেন তারা।যাহা বিগত ২০১২ সনের সিলেট জালালাবাদ থানার মামলা নং ১৮/২০১২ ইং উক্ত ভিডিও সংক্রান্ত মামলায় ছায়েম গত ০২/০১/২০১৩ ইং সনে মাননীয় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত সিলেটের আদেশ মুলে মামলার দায় হইতে অব্যাহতি পান।আদালত হইতে খালাসপ্রাপ্ত বিষয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে সম্মান ক্ষুন্ন করায় ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট আইন ২০১৮ এর ২৫(১)ক,২৭,২৯,৩৩ দন্ডবিধি আইনের ৩৮৫ ধারায় মামলা নং ৪৩/২০২২ দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে একই বিষয়ে গত ৩০/০৩/২০২২ ইং তারিখে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগও প্রদান করা হয়। এ আর ছায়েম জানান পারিবারিক মামলা সংক্রান্ত জেরে আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ তুলা হয়েছে যার কোনো বিত্তি নেই।

এবং আদালত কর্তৃক খালাস পাওয়া ২০১২ সালের অপ্রিতিকর একটি ঘটনার ভিডিও স্যোসাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার হুমকী দিয়ে আমার নিকট এক লক্ষ টাকা চাদা দাবী করা হয়েছে।আমি চাদা না দেওয়ায় ও পারিবারিক মামলা তুলে না নেওয়ার কারণে ভিডিওটি বিভিন্ন পেইজ ও পেইসবুকে ভাইরাল করা হয়েছে।এবিষয়ে আমি আদালতে মামলা করেছি।

এ আর ছায়েমের এডভোকেট সালেহ আহমদ চৌধুরী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ