রমজান মাসে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধের প্রতিবাদে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২ ১১:০৩

সুরমাভিউ:-  আসন্ন রমজান মাসে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে সোমবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ক্রীন ব্রীজের (দক্ষিণ) মুখে জমায়েত হয়ে মিছিলটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে কদমতলী পয়েন্টে এক সমাবেশে মিলিত হয়।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি বিল্লাল মিয়ার সভাপতিত্বে এবং জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক মো. রাশেদ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মো. ছাদেক মিয়া, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা শাখার অন্যতম নেতা শুভ আজাদ শান্ত, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর দপ্তর সম্পাদক বদরুল আজাদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, দক্ষিন সুরমা উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. মনির হোসেন, প্রচার সম্পাদক মো. সুনু মিয়া, বাবনা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মুমিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন মিয়া, তালতলা আঞ্চলিক কমিটির সহ-সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিন, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি মোঃ জয়নাল মিয়া, সহ-সভাপতি মোঃ আল আমিন সহ প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, পবিত্র রমজান মাস ধর্মপ্রান মুসলমানদের জন্য পুন্যতা বয়ে আনলেও হোটেল রেস্তোরায় কর্মরত শ্রমিকদের জন্য আসে অভিশাপ হিসেবে। মালিকদের অতিরিক্ত লাভের জন্য রমজানের পবিত্রতা রক্ষার অজুহাতে দিনের বেলা হোটেল -রেস্তোরা বন্ধ রাখার কারণে ব্যাপক শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়। অথচ, কাকডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সারাবছর হাড়ভাঙ্গা  পরিশ্রম করে মালিকদের আরাম আয়েশ ও পুঁজিবৃদ্ধি করলেও রমজান মাসে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা কাজ ও মজুরি না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হয়। কর্মরত শ্রমিকরা ইফতার তৈরী, বিক্রি, সন্ধ্যা ও ভোররাতে দোকান খোলা থাকার কারণে কাজের চাপ বেড়ে যায়।  অথচ, অধিকাংশ শ্রমিকদের মজুরি ও বোনাস না দিয়ে তাদের আইনসঙ্গত অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।

বক্তারা আরোও বলেন গেজেট ও শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে উঠলে ২৬ এপ্রিল ২০১২ ইংরেজি তারিখে মালিক সমিতির সাথে নিম্নতম মজুরী বোর্ডের রেয়োদাদ কার্যকরী করাও পরিচয়পত্র দেওয়ার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুঃখের বিষয় এখনও সম্পাদিত চুক্তি কার্যকর করা হয় নাই। সামনে আসছে রমজান মাস এ মাসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মালিকরা কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে অন্যায়ভাবে শ্রমিকদেরকে ছাঁটাই করে দিবে। যা অমানবিক। ১১ মাস কাজ করে শ্রমিকরা মালিকের প্রতিষ্টানের উন্নতির ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রাখেন। কিন্তু রমজান মাস আসলেই বোতন বোনাস না দিয়ে মালিকরা শ্রমিকদেরকে কাজ থেকে বিরত রাখবেন। যার ফলে পুরো রমজান মাস রোজা রাখার বদলে শ্রমিক পরিবার উপবাস জীবন কাটাতে হবে। আসন্ন রমজান মাসে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, বেতন বোনাসের দাবিতে আগামী ৩০ মার্চ বিকেল ৪ঘটিকার সময় দক্ষিণ সুরমায় আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ