১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
প্রকাশিত:শুক্রবার, ১৮ ফেব্রু ২০২২ ০৮:০২
ওয়েস খছরু।। ডিও পাঠাচ্ছেন এমপি হাবিবুর রহমান। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি দেবেন এ ডিও। দাবি জানাবেন- পারাইরচকের ডাম্পিং গ্রাউন্ড উচ্ছেদের। সিলেট নগরের বাইরে যেন নিয়ে যাওয়া হয় এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড। এখনই এ নিয়ে কিছুই করার নেই মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর। ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ৫৬ কোটি টাকার কাজ চলমান। ময়লার ভাগাড়কে সারে রূপান্তর করার জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলছে এই প্রকল্প। জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করে সমঝে দেয়া হবে সিটি করপোরেশনকে।
কিন্তু এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব তার সিদ্ধান্তে অটল। ময়লার ভাগাড়ের পাশেই হচ্ছে বিভাগীয় স্টেডিয়াম। এলাকার মানুষ গোটা শহরের ময়লা নিয়ে ত্যক্তবিরক্ত। এ কারণে তিনি আজ-কালের মধ্যে সার্বিক বিষয় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন। সেই পৌরসভার আমল থেকেই সিলেটের নগরের একপাশের পারাইরচক হচ্ছে ময়লা ফেলার ডাম্পিং এলাকা। সিটি করপোরেশন টাকা দিয়ে জমি কিনে ওই এলাকাকে ডাম্পিং স্টেশন বানিয়েছে। এখনো খোলা স্থানেই ফেলা হচ্ছে ময়লা। ফলে চারদিকের এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। পাশেই সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়ক। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাফেরা করে। পাশ দিয়ে গেলেই মুখে চেপে যেতে হয়। এখন শহরের পরিধি বেড়েছে। পারাইরচকও শহরের অন্তর্ভুক্ত। ফলে ময়লা ফেলার স্থান আর শহরের বাইরে থাকছে না। দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে দুর্গন্ধ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এলাকার মানুষ। পরে বিষয়টি অবগত করা হয়েছিল তৎকালীন সিলেট-১ আসনের এমপি ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে। মেয়রের অনুরোধে তখন পারাইরচকে একটি ‘গার্ভেজ প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়। প্রায় ৬৫ কোটি টাকার এই প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক। এই প্রকল্পের কাজ এখন চলমান। পাশাপাশি সিলেট নগরীর চর্তুদিকে আরও ৫টি ডাম্পিং গ্রাউন্ড নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনাও রয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পারাইরচকে তিন বছর আগে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। এই প্রকল্পের মধ্যে শহরের সব বর্জ্যকে সারে পরিণত করা হবে। ফলে আর খোলা স্থানে থাকবে না বর্জ্য। ট্রাকে করে বর্জ্য নিয়ে নির্মাণ করা মেশিনে সেটি সারের রূপান্তর করা হবে। আগামী জুন মাসের আগেই কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আর দুর্গন্ধ থাকবে না। ময়লার ভাগাড়ও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। যদি সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত আসে বাইরে নেয়ার তাহলে সেটি করা হতে পারে। কিন্তু এখন সেটি বাইরে নিয়ে গেলে ৫৬ কোটি টাকার প্রকল্পও জলে যেতে পারে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত সরকারকেই নিতে হবে। এদিকে- অনেক আগে থেকেই পারারইরচকের ময়লার ভাগাড়ের পাশে বিভাগীয় স্টেডিয়াম নির্মাণ করার প্রস্তাব উঠেছিল। সেখানে একটি অস্থায়ী সাইনবোর্ডও টাঙিয়ে দেয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহে সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিসিবির পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ সংশ্লিষ্টরা বিভাগীয় স্টেডিয়ামের জায়গার স্থান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে গিয়ে এমপি হাবিবুর রহমান পারাইরচকের ময়লার ভাগাড় নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন।
অফিস :ইস্ট এন্ড, তালতলা ,সিলেট-৩১০০, বাংলাদেশ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এমদাদুল হক
বার্তা সম্পাদকঃ আবু জাবের
মোবাইলঃ ০১৭১১৩৩১০৭০
ইমেইলঃ surmaview24@gmail.com
Helpline - +88 01719305766