ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু তাওহিদ আহমদ বাঁচতে চায়

প্রকাশিত:শনিবার, ১১ ডিসে ২০২১ ১০:১২

ছাতক প্রতিনিধি:-  তাও‌হিদ আহমদ মরন ব‌্যথিক ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু বাঁচতে চায়। মাত্র সা‌ড়ে ৭ বছর বয়সী শিশু তাও‌হিদ আহমদ যখন মাঠে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকার কথা, তখন সে বা‌ড়ির বিছানায় শুয়ে বাঁচার আকুতি মিন‌তি করে তার মা বাবাসহ প‌রিবারের সকলেই কাদ‌ঁছে।

ছাতক শিল্পনগরী উপজেলার গো‌বিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও ইউনিয়নের বিলপাড় গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর মোহাম্মদ নুরুল্লা ও শিল্পী বেগমের ছেলে। বতমান সৃ‌হিতপুর এলাকায় এক‌টি ভাড়া‌টিয়া বাসা থাকেন। সে স্থানীয় বুড়াইগাও বাজারে আল জাজিয়া কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, হতদরিদ্র দিনমজুর মোহাম্মদ নুরুল্লার দুই ছেলে মধ্যে তাও‌হিদ আহমদ ছোট। গত ২৬অক্টোবর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মে‌ডিক‌্যাল অ‌ফিসার ডাক্তার মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে গো‌বিন্দগঞ্জ লোকনাথ ফা‌মেন্সী রো‌গি দেখা‌নো হয়।

গত ৩ নভেম্বর সি‌লেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি ১৬‌ দিন হাসপাতালে চি‌কিৎসা দেয়ার পর তাও‌হিদ আহমদের হাতে পু‌রি‌টি মধ্যে ম‌রন ব‌্যথিক রোগে আত্রুান্ত হয়েছে।

ডাক্তার অপারেশন করে মাং‌শের টুকরাটি ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পর শিশু তাও‌হিদ আহমদের বাম হাতে ক্যান্সার ধরা পড়ে।

পরে সিলেটের ওসমা‌নি মে‌ডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের ক‌্যান্সার বি‌শেষঞ্জ সহকা‌রি অধ‌্যাপক ও‌ বিভাগীয় প্রধান ক‌্যান্সার (বিভাগ) ডাক্তার মোহাম্মদ এস্তেফছার হোছাইনের কাছে পা‌ঠিয়ে দেন। তাও‌হিদ আহমদ রো‌গি‌কে দে‌খে তার দেহসহ বি‌ভিন্ন রকম প‌রিক্ষা নি‌রিক্ষা করে মরন ব‌্যাধী ক‌্যান্সার রোগ বলে নি‌শ্চিত করছেন তি‌নি।

কেমোথেরাপি ও টি রেডিওথেরাপি গ্রহণ করা সহ জরুরী ভি‌ক্তিতে ঢাকা বঙ্গবন্ধু মে‌ডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে ভ‌তি করার পরামশ দেন তি‌নি। পরে তার ছেলেকে টাকার অভাবে ঢাকা না গিয়ে ছেলেকে নিয়ে ওসমা‌নি মে‌ডিক‌্যাল হাসপাতালে থেকে বা‌ড়িতে চলে আসে।

দিনমজুরে কাজ করে কোনমতে তার সংসার চলে যাচ্ছিল, কিন্তু হঠাৎ এক কালো ছায়া তার প‌রিবা‌রের উপরে বর করেছে। তার ছোট ছেলে বাম হাতে এক‌টি সাধারন পু‌রি থেকে ধরা পড়ে মরন ব‌্যথিক ক্যান্সার।

তার ছেলের জন‌্য যা টাকা ছিলো তা দিয়ে চিকিৎসায় খরচ করে ফেলা হ‌য়। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তার ছেলেকে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেননি। এরজন্য শারীরিক অবস্থা আবারো খারাপের দিকে চলে যায়।

ডাক্তার বলেছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা যেতে হবে। এরজন্য তার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। আর ওই পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ যোগান দিতেই সর্বস্বান্ত পিতা মোহাম্মদ নুরুল্লা। এখন তার হা‌তে নেই কো‌নো টাকা পয়সা তবু ও ঋন নিয়ে অনেক কষ্টেও তাও‌হিদ আহমদের চিকিৎসা করাচ্ছেন।

এব‌্যাপারে নুরুল্লা জানান, এতদিন কোন মতে জীবনযাপন করলেও জটিল এ রোগের কারণে তার চোখে অন্ধকার দেখছেন। ডাক্তার বলেছেন তার ছেলেকে বাচাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা যেতে হবে তা না হলে অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে। কিন্তু এত টাকা আমি কোথায় পাবো। এখন খেয়ে না খেয়ে পরিবারের সদস্যদের দিন কাটাতে হচ্ছে।

কোন উপায় না দেখে তিনি বেঁচে থাকার জন্য দেশ বিদেশের বৃত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন।

এ জন্য তাও‌হিদ আহমদকে বাঁচাতে সকল শ্রেনীর সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার বাবা।

সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন তাও‌হিদ বাবা :(বিকাশ)+ 8801737863384

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ