২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ইং
প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টো ২০২১ ০৫:১০
বিয়ানীবাজারের লাউতা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাহাড়িয়াবহর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাদের এই বিরোধ শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়িয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিবদমান ভূমিতে ১৪৪ ধারায় জারি করেছে প্রশাসন।
বিয়ানীবাজারের দক্ষিণ পাড়িয়াবহর এলাকার হাজী আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র মামুনুর রশিদ তুহিন গত ২৩ অক্টোবর সিলেটের অতিরিক্ত জেলা হাকিম আদালতে আবেদন করেন যে, মৌরসী সূত্রে তার বাবা এবং চাচার মালিকধীন জেএল নং ১৪৫, বিএস খতিয়ান নং ২৩৫,৩২০,৮১,৫১৬, দাগ নং ২৬৬৭ এবং ২৬৬৮ তফশীল বর্নিত ভূমির মোট ২৩ শতক জায়গার মালিক থাকিয়া ভোগ দখল করে আসছেন। সম্প্রতি একই গ্রামের মান্না মিয়া গংরা উক্ত ভুমিতে জোর পূর্বক দখল করিয়া স্থাপনা নির্মানের চেষ্টা করছে। সে কারণে ভূমির রক্ষার্থে দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ-সংঘাত ঘটার আশংকা করছেন। আর এতে তিনি ন্যায় বিচারের দাবিতে ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আদালতে দ্বারস্থ্য হয়ে একটি অভিযোগ (বিয়ানীবাজার বিবিধ মামলা নং ৩৯/২০২১) দায়ের করেন। তার সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের মাধ্যমে নালিশা ভূমিতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং উভয়পক্ষকে প্রয়োজনীয় প্রমানাদিসহ আগামী ২৮ ডিসেম্বরে সকাল ১০টায় আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
বাদী মামুনুর রশিদ তুহিন বলেন, প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ দলবল নিয়ে আমার বাবা ও চাচার মৌরসী ভূমিতে ঘর নির্মাণের জন্য নির্মাণসামগ্রী নিয়ে দখল করার চেষ্টা করে। আমি ও আমার পরিবার তাতে বাঁধা প্রদান করলে স্বপরিবারে আমাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারা প্রভাব-প্রতিপত্তির জোরে আমাদের মৌরসী ভূমি দখলের চেষ্টা করছে। বর্তমানে তারা এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলকে নিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকী-ধমকি দিচ্ছে। তারা যেকোন সময় প্রতিপক্ষের লোকজন আমার উপর হামলা এবং আমাদের জায়গা দখল করতে পারে।
অভিযুক্ত মান্না মিয়া বলেন, অভিযোগকারীর বাবা-চাচারা সাফকবালার মাধ্যমে আমার কাছে ভূমি বিক্রি করেছেন। আমি সেই জমির দখল নিতে গিলে তারা অন্যায় ভাবে আমাকে বাধা প্রদান করছে। বিষয়টি আমি আইনী মোকাবেলা করবো।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার উপপুলিশ পরিদর্শক যীশু দত্ত বলেন, আদালতের নির্দেশনানুযায়ী ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ধারা মোতাবেক বিবধমান ভূমির মালিকানা দাবি করা দুটি পক্ষকে নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। একইসাথে বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। আইন অমান্য করে নালিশা ভূমিতে কেউ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে।
Helpline - +88 01719305766