১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২রা ডিসেম্বর, ২০২৩ ইং
প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ০৫ অক্টো ২০২১ ০৬:১০
আবদুর রহমানদের আজ খুশির সীমা নেই। তারা উপকূলীয় অধিবাসী। মেঘনা নদীর ভাঙনে নিজেদের সহায়-সম্বল হারিয়ে ভাগ্যাহত এই মানুষেরা এখন ভূমিহীন। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পর আপনজনকে দাফন করার জন্যও ছিল না তাদের এক টুকরো জমি।
অনুষ্ঠানে বেদনার্থ কণ্ঠে আবদুর রহমান বলেন, ‘আপনজনকে শেষবারের মতো শায়িত করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাশ নিয়ে বসে থাকতে হতো। আজ আমাদের অপেক্ষার প্রহর কাটলো। আমরা আইজিপির বদান্যতায় একটি স্থায়ী কবরস্থান পেলাম।’
প্রায় দুই হাজার ভূমিহীন মানুষের জন্য কবরস্থান গড়ে দেওয়ার মূল স্থপতি বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজপি) ড. বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা।
আইজিপি ও পুনাক সভানেত্রী মঙ্গলবার বিকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্ব চরমনসা গ্রামে এই কবরস্থানের ফলক উন্মোচন করেন। পরে আইজিপি স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় আইজিপি বলেন, লক্ষ্মীপুরের এই এলাকায় বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত ভূমিহীনদের জন্য কোনো কবরস্থান নেই, এ সংক্রান্ত রিপোর্ট একটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়। রিপোর্টটি দেখে আমার স্ত্রী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। মূলত তারই প্রেরণায় আমরা নিজস্ব উদ্যোগে জমি কিনে এখানে কবরস্থান এবং একটি মসজিদ স্থাপন করেছি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অনেক উন্নত হয়েছে। এখন মৃত্যুর পর কারো দাফন-কাফন অথবা সৎকার হবে না, তা ভাবা যায় না।
পুলিশপ্রধান বলেন, এ কবরস্থানের উপকারভোগী শুধু ভূমিহীনরা নয়, এ গ্রামের সাধারণ মানুষও হবেন।
আইজিপি কবরস্থানটিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বিবেচনা করে তার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
ড. বেনজীর আহমেদ সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক দিক তুলে ধরে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের বেশি বেশি সিটিজেন রিপোর্টিং হলে সমাজ ও দেশ উপকৃত হবে।
আইজিপি ও পুনাক সভানেত্রী ভূমিহীন আবদুর রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জমির দলিল হস্তান্তর করেন। তারা উভয়ে কবরস্থানে একটি করে গাছের চারা রোপণ করেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসাইন এবং লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান বক্তব্য দেন।
প্রায় সাড়ে ২৯ শতক আয়তনের এই কবরস্থানে প্রায় ৪০০ মানুষকে দাফনের স্থান সংকুলান হবে।
পরে আইজিপি জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে রেঞ্জ এবং জেলার পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাথে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় মিলিত হন। এছাড়া তিনি দাশের হাট পুলিশ ফাঁড়ি ও নারী ব্যারাক উদ্বোধন করেন।
Helpline - +88 01719305766