১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ ইং
প্রকাশিত:বুধবার, ২২ সেপ্টে ২০২১ ০৬:০৯
মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি:- সিলেটের জৈন্তাপুরে মুজিব বর্ষের উপহারের ঘরের বারান্ধা ভেঙ্গে দিয়েছে দুস্কৃতিকারিরা। বারান্ধা পড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট হয়েছে ধোঁয়শা। ভোর রাতে বারান্ধাটি হঠাৎ করে ভেঙ্গে পড়ায় অনেকেই বলছে পরিকল্পিত ঘটনা। এঘটনায় মামলা দায়ের পক্রিয়া চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে বর্তমান সরকার উপজেলা পর্যায়ে মুজিব নগর স্থাপন করে ভূমিহীনদের মধ্যে গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নে ৪৫টি, চারিকাটা ইউনিয়নে ১১টি এবং নিজপাট ইউনিয়নে ২৭৪টি গৃহ নির্মাণ করে আশ্রয়হীনদের মধ্যে ঘর বরাদ্ধ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২দফায় প্রায় ২২০টি ঘর বরাদ্ধ হয়।
২২ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ১৮২ নং ঘরের বারান্ধা তিনটি পিলার সহ পুরো বারান্ধা ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে যায়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট হয়েছে ধোঁয়াশা। কেউ বলছে বারান্ধাটি ভেঙ্গে পড়েছে, কেউ বলছে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আসলে কি ঘটনা ঘটেছে তার প্রকৃত রহস্য জানা যায়নি। ঘটলাস্থলে আলামত ও বিভিন্ন পারিপার্শিক চিহ্ন দেখে বুঝা যায় অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য রাতের অন্ধকারে বারান্ধা ভাঙ্গা হয়েছে। মুজিব নগরের ক্ষতি সাধনের জন্য দুষ্কৃতিকারীরা বারবার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। ইতিপূর্বে এরকম ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছে। সে ঘটনায় আসামীরা আদালতে হতে জামিন নিয়ে এলাকায় অবস্থান করছে।
স্থানিয় বাসিন্ধা ফখরুল ইসলাম, খলিলুর রহমান সহ ১০/১৫ জন প্রতিবেদকে বলেন, ফজরের পর বিকট শব্দে বারান্ধাটি মাটিতে ভেঙ্গে পড়ে। এসময় ঘরের বাসিন্ধারা ঘরে ছিলেন না। তারা কাউকে পালিয়ে যেতে দেখেনি। এছাড়া ঝড় তুফান কিংবা বৃষ্টি ছাড়াই ভেঙ্গে পড়ার কোন কারন ছিল না। তাদেরও ধারনা কেউ হয়ত পরিকল্পিত ভাবে ঘটনাটি করেত পারে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত আজমেরী হক, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারুক আহমদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন, নিজপাট ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইয়াহিয়া, জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারুক আহমদ বলেন, নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করে ঘর নির্মাণের শুরুতেই রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতিকারীরা ৩টি ঘরের বেইজ ও পানির পাইপ কেটে ফেলে। মাস খানেক পূর্বে নতুন নির্মানাধীন ৫০টি ঘরের ভ্যান্টিলেটর ভেঙ্গে ফেলে। সর্বশেষ চক্রটি আজ ভোরে উদ্দেশ্যে মূলক ভাবে ঘরটির বারান্ধার পিলার ভেঙ্গে ফেলা হয়। আমার ধারনা বারান্ধাটি ভেঙ্গে পড়েনি, কৌশলে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামালা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Helpline - +88 01719305766