৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং
প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রি ২০২১ ০৮:০৪
সুরমাভিউ:- সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে দীর্ঘ ৩০ বছর পর পিডিবি’র কাছ থেকে জায়গা ফিরে পেয়েছেন প্রকৃত ভুমির মালিক ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নুরপুর গ্রামের মোঃ একরাম আলী।
গত ১০ এপ্রিল শনিবার দুপুরে জরিপের মাধ্যমে পিডিবি’র সহযোগিতায় একরাম আলীকে তার নিজ নামীয় জায়গা সমঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, মোঃ একরাম আলী নামীয় একখন্ড যার পরিমাণ ১.৯৩ (এক একর তিরানব্বই শতক), যার বর্তমান খতিয়ান নং- ১৪৮, দাগ নং- ৬৪১, মৌজা- গাড়ুয়ালীকোনা প্রায় ৩০ বছর পূর্বে ওই জায়গার মধ্যে থেকে ০.৪২ শতক জায়গা পিডিবির কাছে বিক্রি করেন ও এই জমির মূল্য তিনি বুঝে পান। ওই জায়গা বিক্রির পর পূর্ব অংশে ৮৪ শতক ও পশ্চিম অংশে ৬৭ শতক জায়গা অবশিষ্ট ছিল। পরবর্তীতে পশ্চিম দিক থেকে সুমাইয়া আক্তার নামে এক ব্যক্তির কাছে ৫৯ শতক জায়গা বিক্রি করি। কিন্তু পিডিবি আবার মোঃ একরাম আলীর প্রায় সাড়ে ৮ শতক জায়গা দখলে ছিল। এই জায়গা বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের সম্মুখের অংশ।
আলাপকালে একরাম আলী বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে পিডিবির কাছে আমি জায়গা বিক্রি করি। এরপর আমার ৬৯ শতক জায়গা ছিল। সুরাইয়া আক্তার নামীয় আরেকজনের কাছে ৫৯ শতক জায়গা আমি বিক্রি করি। আমার বাকি অবশিষ্ট জায়গা প্রায় সাড়ে ৮ শতক শতক পিডিবির দখলে ছিল। যা উদ্ধারের জন্য আমি দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
গত ১০ এপ্রিল শনিবার পিডিবি কর্মকর্তারা ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত, মাইজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছুফিয়ানুল করিম চৌধুরী, ইউপি সদস্য লিটন আহমদ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমার নামিয় জায়গা জরিপ করে সাড়ে ৮ শতক জায়গা সমঝিয়ে দেওয়া হয়।
একরাম আলী দীর্ঘদিন পরে নিজ নামিয় ভুমি ফিরে পাওয়ায় প্রথমে মহান আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন এবং পিডিবি’র সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
Helpline - +88 01719305766