দোয়ারাবাজারে সড়ক নয়, এ যেন মরণফাঁদ!

প্রকাশিত:সোমবার, ০৫ এপ্রি ২০২১ ০৮:০৪

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:-  সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের মাঝেরগাঁও পয়েন্ট হতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেইট পর্যন্ত পাকা সড়কটি সংস্কারের অভাবে ছোট বড় অসংখ্য খানাখন্দে ভরপুর। এছাড়া একই সড়কের মঙ্গলাগাঁও অংশে ইটসলিংয়ের অবস্থাও ভয়ানক রূপ নিয়েছে। এ যেন সড়ক নয়, মরণফাঁদ! ফলে গর্ভবতী মহিলা ও জরুরি রোগীসহ প্রতিদিন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার হাজারো মানুষ ও যান চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার।

স্থানীয় ফার্মেসী ব্যবসায়ী পল্লী চিকিrসক কবির আহমদ ও ফারুক আহমদ বলেন, গত ৫ বছর ধরে ওই সড়কে খানাখন্দে ভরপুর থাকায় জরুরি রোগী বা গর্ভবতী মায়েরা যানবাহনে আসা-যাওয়ায় প্রতিনিয়ত মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সড়কটি মেরামত জরুরি প্রয়োজন।

স্থানীয় জাকির হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা প্রায়ই ভগ্নদশা ওই সড়কটি পরিদর্শন করেন। কিন্তু আদৌ কোনো অগ্রগতি হচ্ছেনা।স্থানীয় সোনরাইজ কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক শামীম হোসাইন বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীসহ হাসপাতালে আগত জরুরি রোগী ও  বয়োবৃদ্ধরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।ভগ্নদশা রাস্তাটি দ্রুত মেরামত প্রয়োজন।

উপজেলা নদীভাঙন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলামও একই কথা জানালেন। তিনি আরো বলেন, রাস্তা সংস্কার ও নদীভাঙন প্রতিরোধের স্বার্থে সর্বদাই দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছি। ফলে অনেকটা বাস্তায়ন হলেও টিকাদারদের খামখেয়ালীপনায় কাজের স্থায়ীত্ব বেশিদিন ঠিকেনি। জরুরি ভিত্তিতে ওই সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাই। মাঝেরগাঁওয়ের সমর আলী বলেন, ভগ্নদশা পুরাতন সড়কটি মেরামতের অভাবে জনজীবনে ভোগান্তি বেড়েই চলছে।আমরা দ্রুত এর সংস্কার চাই। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজ না হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ ক্ষেত্রে দুই প্রান্তের দু’টি সড়কেই নাজুক অবস্থা।

মঙ্গলারগাঁওয়ের বাসিন্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রতন লাল দাস বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইদিকের যোগাযোগ সড়কের কাজ না হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি ক্রমেই বাড়ছে। প্রবীণ রোগী রহিমা বেগম ও ফয়জুল হক বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসাযাওয়াতে ভাঙা সড়কের ঝাঁকুনিতে কোমর বাঁকা হয়ে যায়। সড়কের মেরামত করা অতি জরুরি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডা: হাসান মাহমুদ বলেন, সেবা নিতে আসা অধিকাংশ রোগীরা প্রথমেই ভাঙা সড়কের ভোগান্তির কথা বলে থাকেন। কারণ এতে রোগের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কের উন্নয়নকাজ অতি জরুরি। স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজি আব্দুল খালেক বলেন, কিছুদিন আগে এলজিইডি সড়কটি ম্যাজারমেন্ট করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আর কোনো সাড়া নেই। শুনেছি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে সড়কটি। যাক, মানুষের ভোগান্তি লাঘবে সড়কটি দ্রুত মেরামত প্রয়োজন।

এলজিইডি দোয়ারাবাজার উপজেলা শাখার সহকারী প্রকৌশলী সাবিরুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে কথিত সড়কটি সংস্কারের আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কোন পর্যায়ে আছে তা’ আমার জানা নয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ