ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১ ০৭:০৩

সুরমাভিউ:-  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট বিভাগের উদ্যোগে শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় সিলেট নগরীর একটি হোটেলে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব মাওলানা আমিনুল ইসলাম।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফিজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন খান।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দুনিয়াতে আল্লাহ তায়ালার মনোনীত দ্বীন ইসলাম-ই শ্রেষ্ঠ। এর চেয়ে উত্তম আর কিছু নেই। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এখানে জীবনের পরিচালনায় জন্য সবকিছু বিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে।

বক্তারা বলেন, আপনার ভোট এবং সাক্ষ্যে যে নেতা নির্বাচিত হন, সে তার দায়িত্ব প্রাপ্ত অবস্থায় যত ভালো বা মন্দ কাজ করবে, তার দায়ভার আপনার উপরেও বর্তমানে। আপনিও তার নেকি বা পাপের অংশীদার হবেন। কোন ব্যাক্তি ব্যক্তিগত ভাবে কোন কিছু করলে তার তার প্রতাব নেকি ও পাপ তার মধ্যে সিমাবদ্ধ তাকে। পুরস্কার কিংবা শাস্তি সীমিত থাকে। কিন্তু জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় কাজের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পুরো জাতির উপর পড়ে। এ ব্যক্তি সামান্যতম অপকর্মও কোন কোন সময় পুরো জাতি ধবংসের কারন হতে পারে। কাজেই এর নেকি ও শাস্তিও অনেক বড় ও মারাতœক হয়ে থাকে।

ভোট শুধুুমাত্র একটি টিপসই নয়, ভোট একটি সাক্ষ্য, ভোট একটি আমানত, ভোট একটি সুন্দবিশ সর্বোপরি ভোট ভাল বা মন্দ কাজের সহযোগীতা করা। তাই কোরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিতে বিধান জেনে যথাযথ স্থানে এর প্রয়োগ করা মুসলমান হিসেবে আমাদের একান্ত কর্তব্য।

বক্তারা বলেন, একটি ভোট প্রয়োগের মাধ্যমেও একজন ব্যক্তি রাষ্ট্র পরিচালনার মহৎ কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। তাই যারা নির্বাচিত হলে অন্যায় ও কুকর্মকে রাষ্ট্রীয় ভাবে নিষিদ্ধ করে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্টা করবে, তাদেরকে ভোট দিতে হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ