তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কে ৫ হাত বাঁশের মাঁচা বসিয়ে চাঁদা উত্তোলন : ইউএনও’র কাছে অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১ ০২:০৩

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:-  সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বহুল আলোচিত পর্যটন কেন্দ্র যাদুকাটা, শিমুলবাগান, বারেকটিলা, টেকেরঘাট ও টাংগুয়ার হাওরে বিভিন্ন প্রকার যানবাহন দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে দেশ-বিদেশের পর্যটকসহ এলাকাবাসী। কিন্তু যাতায়াতের সময় তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের শুকনো রাস্তায় উত্তোলন করা হচ্ছে চাঁদা। এব্যাপারে গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়েছে একটি লিখিত অভিযোগ।

কিন্তু অভিযোগ দায়েরের ৭দিন পেরিয়ে গেলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ভোক্তভাগীরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের পোছনারঘাট ব্রিজ হতে পাতারগাঁও গ্রাম পর্যন্ত অনুমান ৫ থেকে ৬শ মিটার মাটির কাঁচা রাস্তা রয়েছে। এই সড়কটি সঠিক ভাবে নির্মাণ না করার কারণে প্রতিবছর পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাংগনের সৃষ্টি হয়। এর ফলে বর্ষার ৪-৫মাস নৌকা দিয়ে ভাংগা সড়কটি পারাপার হতে হয়। আর কার্তিক মাস হতে বৈশাখ মাস পর্যন্ত প্রায় ৭মাস রাস্তার কোথাও পানি না থাকার কারণে পর্যটক ও এলাকাবাসী বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারে। তারপরও স্থানীয় প্রভাবশালীরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেয়াঘাটের নামে শুকনো রাস্তার মাঝে বাঁশ ও দরি দিয়ে শতশত যানবাহন ও পথচারীদের আটক করে প্রতিদিন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা চাঁদা উত্তোলন করছে।

এ ব্যাপারে তাহিরপুর ও বাদাঘাট ইউনিয়নের বাসিন্দা সৌরভ সরকার, প্রলয় রায়, আলী আমজদ, নেয়ামুল, গৌতম মৈত্র, ইসলাম উদ্দিন, খেলু মিয়া, নুর হোসেন, চাঁন মিয়াসহ আরো অনেকেই বলেন- পোছনারঘাট নামক স্থানে ব্রিজের গোড়ায় মাটি দিয়ে ভরাট না করে সেখানে বাঁশের তৈরি ৫ হাত মাঁচা বসিয়ে প্রায় ৫ মাস যাবত ওপেন চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে। চাঁদাবাজদের কথা মতো চাঁদার টাকা না দিলে পর্যটক ও এলাকাবাসীকে মারধর করাসহ লাঞ্চিত করা হয়। আটক করে রাখা হয় গাড়ি। আমরা এই চাঁদাবাজির অত্যাচার হতে মুক্তি চাই। ঢাকা থেকে আগত পর্যটক রাইসুল ইসলাম, আল আমিন, আশরাফ আলম ও রাহুল সরকার বলেন- ২টি পাইভেটকার নিয়ে মাটির রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করতে গিয়ে ২হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে। চাঁদার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে চাঁদাবাজরা জানায় মাটির এই শুকনো রাস্তাটি ইউএনও’র কাছ থেকে লীজ এনেছে।

বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিন বলেন- আমি যখন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাতারগাঁও এর রাস্তাটি লীজ দিতাম তখন মেয়াদ দেওয়া হতো বর্ষার ৬মাস। পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে টোলটেক্স বন্ধ করে শুকনো রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হতো। এবার উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে রাস্তটি লিজ দেওয়া হয়েছে। তাই এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবনা ইউএনও সাহেব বলতে পারবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন- আমি তাহিরপুরে যোগদানের আগেই রাস্তাটি লিজ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে রাস্তায় পানি নাই কিন্তু ব্রিজের গোড়ায় বাঁশ দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। এব্যাপারে ইজারাদারদের সাথে কথা বলব।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ