৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং
প্রকাশিত:মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রু ২০২১ ১১:০২
ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা:- ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকার সংস্কার কাজে হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউপির গোবিন্দগঞ্জ-টু বসন্তপুর সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংস্কারের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না। যেভাবে কাজ করেছে সেটাকে কাজ বলা যায় না বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন। নি¤śমানের পিচ(বিটুমিন) ব্যবহার করায় সেগুলো এখন উঠে আসছে। সংস্কার কাজ শুরুর পর থেকেই নি¤śমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। সড়কে ঢালাই করার পর দিনই হাত দিয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলছেন স্থানীয়রা। সড়কের কার্পেটিং তোলার এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ও সমালোচনার ঝড় বইছে বিভাগজেলাজুড়েই।সড়ক নির্মাণের ৫ দিনের মধ্যে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে খিদ্রা,গোপালনগরসহ বিভিনś স্থানে। সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সড়ক পুনর্র্নিমাণের দাবিতে এলাকাবাসী। ফলে হঠাৎ করে গোটা সড়কে বিটুমিনের পরিবর্তে কেরোসিন স্প্রে করে তার উপর ভেজা বালু ছিটিয়ে সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সড়কটি নির্মাণের দায়িত্ব পায় মৌলভীবাজার আকবর ট্রেডাস নামে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। পরে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের কাছ থেকে কাজটি যৌথভাবে কিনে নেয় ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউপির সুহিতপুর গ্রামে সাদিক ট্রেডাস নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্টান।
প্রায় ৯ কিলোমিটার ২শ ৭৫ মিটার গোবিন্দগঞ্জ-টু বসন্তপুর সড়কের সাদিক ট্রেডাস নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্টান দীর্ঘ দেড় বছর ধরে সংস্কার কাজ শুরু হলে ও গত ৫ দিন আগে গোপাল নগর সড়কটি কার্পেটিং করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানি উনśয়ন প্রকল্পের গোবিন্দগঞ্জ-টু বসন্তপুর সড়কের ৯ কিলোমিটার ২শ’৭৫ মিটার সড়ক সংস্কার কাজ বরাদ্ধ পায় ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউপির সুহিতপুর গ্রামে সাদিক ট্রেডাস কাজ পাওয়ার পরই সড়ক সংস্কারে নিমśমানের কাজ করার অভিযোগ উঠে। এতে স্থানীয়রা সড়কের কাজ সঠিকভাবে করার আহবান জানালেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিমśমানের কাজ করে। এতে সড়কের কাজ করার পরদিনই হাত দিয়েই কার্পেটিং তুলে ফেলেছে স্থানীয়রা। কার্পেটিং তোলার এমন ভিডিও গত রোববার সন্ধ্যা পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয়রা হাত দিয়েই কার্পেটিং তুলে ফেলছে। আর নিমśমানের কাজ হয়েছে বলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এদিকে সরেজমিনে সেখানে গেলে দেখা যায়,হাত দিয়ে টানতেই কাপেটিং উঠে যাচ্ছে। এঘটনায় খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ এলজিইডি অফিস থেকে কাজ কোয়ালিটি ওয়াক অফিসার অরুন ভুমিক কাজ ব্যাপক অনিয়ম দেখতে ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন নির্মাণে ত্রুটির কথা স্বীকার করে বলেন, ত্রুটিপূর্ণ অংশ ফের নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ অনিয়মের ঘটনাটি এলাকাবাসি লোকজন একাধিকবার উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী আবু মনসুর মিয়াকে জানালে ও কোন কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসির লোকজন। তাদের পাশাপাশি এলজিইডি দায়িত্বশীল কর্মকতাদের বিরুদ্ধে উঠে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ।
এব্যাপারে ঠিকাদার সাদিক মিয়া তার প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সড়ক সংস্কারে প্রথম থেকেই স্থানীয় লোকজন সমস্যা সৃষ্টি করেছেন। তারা সাবল দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেলেছেন।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবু মনসুর মিয়া জানান, সড়ক সংস্কার কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। স্থানীয় লোকজন বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য এমন কাজ করেছে এবং সেটি ফেসবুকে আপলোড দিয়েছে।
Helpline - +88 01719305766