নিজ বাড়ীতেই মিনি পতিতালয় গড়েছিলেন শ্রীমঙ্গলের আছমা
প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রু ২০২১ ০৬:০২
মোঃ তাজুদুর রহমান, মৌলভীবাজার:- দেহব্যবসা ও মানবপাচারের আস্তানা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নিজ বাড়িতেই আছমা গড়ে তুলেছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নারীদের ধরে এনে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে নামান আছমা (৪৫)। তার এই যৌনপল্লীর নারীদেরই শ্রীমঙ্গলসহ দেশের বিভিন্ন হোটেল-রিসোর্টে ভাড়ায় পাঠানো হয়। অভিযুক্ত নারীকে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আটক করেছে পুলিশ।
শ্রীমঙ্গল থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহরের গুহরোড এলাকা থেকে আছমাকে গ্রেফতার করে। তিনি নারী পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা বলে দাবি করে পুলিশ। শহরতলীর সুরভীপাড়া এলাকার নূর মিয়ার স্ত্রী আছমা।
শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী জানান, মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে পুলিশ শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় অবস্থিত আছমার বাসায় অভিযান চালায়। এসময় সেখান থেকে দুই নারী ও দুই পুরুষ খদ্দেরকে আটক করে। এর আগেই সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যান আছমা।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র বলে স্বীকার করে। আসামিরা ওই স্থানে টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের এনে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে পাচার করে। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এই মামলার সূত্র ধরেই বুধবার রাতে আছমা পুলিশের জালে ধরা পড়ে।
শ্রীমঙ্গল শহরের বিরাহিমপুরের বাসিন্দা রুমান আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আছমা দীর্ঘদিন ধরে শ্রীমঙ্গলে পতিতাবৃত্তির ব্যবসা করে আসছে। এর আগে কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হলেও ছাড়া পেয়ে আবারো পুরোনো কাজে ফিরে আসেন এই নারী।
হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা বেলাল আহমেদ বলেন, আছমা তার বসতবাড়ি যৌনপল্লী বানিয়ে ফেলার পাশাপাশি বিভিন্ন আবাসিক হোটেল রিসোর্টেও নারী সরবরাহ কাজে জড়িত।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক বলেন, আছমা পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে নারী পাচারকারী চক্রের হোতা। তিনিসহ সংঘবদ্ধচক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।