৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং
প্রকাশিত:বুধবার, ১৭ ফেব্রু ২০২১ ০৮:০২
সিলেট অফিস :: সিলেট নগরে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে বেশ তৎপর নগর কর্তৃপক্ষ। তারাই ধারাবাহিকতায় নগরের চোহাট্টাও সৌন্দর্যবর্ধন করতে চায় সিসিক। তবে বাঁধা এসে দাঁড়ায় উন্নয়ন কাজে, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে স্যান্ড বানিয়ে দখল করে আছেন মাইক্রোবাসের শ্রমিকরা। একাধিকবার বললেও সেখান দখলমুক্ত করেন নি মাইক্রোবাসের শ্রমিকরা। ফলে আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সেখানে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে লিপ্ত থাকা শ্রমিকরা। এতে বাঁধা দেন পরিবহন শ্রমিকেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিসিক মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন কাউন্সিলর ও ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা। এসময় তারা পরিবহন শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন। কথা বলার একপর্যায়ে উপস্থিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের উপর হামলা চালান শ্রমিকরা। এতে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা বাস মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন।
ছাত্রদল ক্যাডার রাজনের নেতৃত্বে চালানো হামলায় সিসিক কাউন্সিলর কয়েছ লোদী, ইলিয়াছুর রহমান সহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চৌহাট্টা এলাকায় থমথমে বিরাজ করে। এবং বাধ্য হয়ে পাল্টা হামলা চালান সিসিকের শ্রমিকেরা।
এ ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ফয়ছল আহমদ ফরহাদ নামে এক শ্রমিক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সিসিক কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের ঘনিষ্ঠ।

জানা যায়, সিসিকের সৌন্দর্যবর্ধন উন্নয়ন কাজের জন্য সিলেট নগরের ফুটপাত, স্ট্যান্ডগুলো উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সিসিক। উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ার পর পরই সিসিকের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী চৌহাট্টা এলাকাস্থ ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ফুটপাত ছাড়তে রাজি হননি শ্রমিকরা।
এসময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সিলেট জেলা ছাত্রদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক ইউনিয়নের আলী আকবর রাজনের নেতৃত্বে শ্রমিকরা কাউন্সিলর ও সিসিকের শ্রমিকদের উপর হামলা চালায়। তারা কাউন্সিলর কয়েছ লোদী ও ইলিয়াছুর রহমান সহ উপস্থিত মেয়র, কাউন্সিলরদের উপর হামলা করে এবং সিসিক শ্রমিকদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার ফয়সল মাহমুদ জানান, সরকারি রাস্তা দখল করে যানবাহন রাখা হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। কিন্তু সম্প্রতি সিসিকের উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ায় চৌহাট্টাস্থ এলাকার অবৈধ পরিবহন স্ট্যান্ড সরানোর জন্য বলা হলেও শ্রমিকরা যানবাহন না সরিয়ে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এক পর্যায়ে সিসিকের শ্রমিক ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কাউন্সিলর, পুলিশসহ ১০-১৫জন লোক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু সাইদ। তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়া হয়। এছাড়া ফরহাদ নামের একজনকে ৩ রাউন্ড গুলিসহ আটক করা হয়েছে।
Helpline - +88 01719305766