শ্রীমঙ্গলে টেস্টটিউব পদ্ধতিতে বেবি জন্মদানের যাত্রা শুরু
প্রকাশিত:বুধবার, ১০ ফেব্রু ২০২১ ০৯:০২
মোঃ তাজুদুর রহমান:- মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৯ জন নিঃসন্তান দম্পত্তি নিয়ে প্রথম টেস্টটিউব পদ্ধতিতে শিশু জন্ম দেয়ার যাত্রা শুরু করেছে দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার এন্ড কাউন্সিলিং সেন্টার। সিলেট বিভাগে এটিই হচ্ছে প্রথম টেস্টটিউব পদ্ধতিতে শিশু জন্ম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়রি) রাত ৯ টায় ডা. দীপাঞ্জলি পাল এর সঞ্চালনায় দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার এন্ড কাউন্সিলিং সেন্টারের কনফারেন্স রুমে মৌলভীবাজার জেলার চিকিৎসকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়।
মতবিনিময় সভায় ডা. নিবাস চন্দ্র পাল জানান, টেষ্টটিউব শিশু সম্পর্কে বলেন,‘আইভিএফ’ এর রোগী সিলেকশনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমরা ইতোমধ্যে ৯ জন নি:সন্তান দম্পতিকে সিলেকশন করে আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। এখন থেকে আমরা ‘আইভিএফ’ প্রথম ব্যাচ দিয়ে প্রথম টেষ্টটিউব বেবি পদ্ধতির যাত্রা শুরু করেছি এবং এটাই হবে সিলেট বিভাগের মধ্যে প্রথম ও একমাত্র ‘আইভিএফ’ অর্থাৎ টেষ্টটিউব বেবি সেন্টার।
সন্তান জন্মদানে অক্ষম নারী পুরুষদের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করে স্বল্প খরচে টেস্টটিউব পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন।
দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার এন্ড কাউন্সিলিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা নিবাস চন্দ্র পাল জানান, দেশের বাইরে গিয়ে যে চিকিৎসা সেবা এতদিন পাওয়া যেতো, সেই মানের চিকিৎসা এখন আমরা দীপশিখায় দিচ্ছি। এখানে যাতায়াত খরচও কম।
দীপশিখার চেয়ারম্যান দীপশিখা ধর জানান, তার সেন্টারে ইতোমধ্যে ২৫০ বন্ধ্যাত্ব রোগীর ফার্টিলিটি প্রমোটিং সার্জারি হয়েছে। এর মধ্যে কাঙ্খিত সাফল্য পেয়েছেন ২০০ জন দম্পতি। এ ছাড়া প্রতিমাসে ১২০- ১৩০ জনের শুক্রানু প্রতিমাসে পরীক্ষা করা হয়।
তিনি আরোও জানান, দীপশিখা ইনফার্টিলিটি কেয়ার এন্ড কাউন্সিলিং সেন্টারের যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে। প্রথমে রোগীদের বন্ধ্যাত্ব কাউন্সিলিং, হরমোন ও বীর্য পরীক্ষা এবং মেডিকেল ট্রিটমেন্ট দিয়ে শুরু করা হয় চিকিৎসা সেবা।
চিকিৎসা পদ্ধতি- শুক্রানু কম ছিল, আশা ছিল না সেই পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু কম হওয়া এক সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। দক্ষ এমব্রায়োলজিস্টের সাহায্যে অনেক পুরুষ নিজের শুক্রানুর মাধ্যমেই বাবা হতে সক্ষম হবেন।
বয়স বেশি, সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা কম দেরিতে বিয়ে ও কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে দম্পতির বয়স বৃদ্ধি নিঃসন্তান হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। আধুনিক চিকিৎসা দ্বারা অনেক দম্পতি সন্তান ধারণ করতে সক্ষম হচ্ছেন।
ডিম্বনালী সমস্যায় মহিলাদের ক্ষেত্রে নিঃসন্তান হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ডিম্বনালী বন্ধ থাকা, চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন নতুন পদ্ধতি আবিস্কার হওয়ায় অপারেশন ছাড়াই মাতৃত্ব লাভের সুযোগ পাচ্ছেন অনেকে।
যারা চিকিৎসা নিতে পারবেন: * যারা আনএক্সেপ্লেইড ইনফার্টিলিতে ভুগছেন, যাদের রিপোর্ট স্বাভাবিক কিন্তু গর্ভ ধারণ করতে পারছেন না।
* স্বামীর শুক্রানুর সংখ্যা কম হলে।
* স্ত্রীর ডিম্বনালীতে বাধা বা অন্য কোনো সমস্যা হলে।