১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং
প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ২৮ জানু ২০২১ ০৩:০১
সেলিম আহমেদ,বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের আওতাধীন ফানাই নদী খননে নদীর তীরের মানুষ আতংকে ছিলো , নদী খনন করার সময় নদীর তীরের মানুষের ঘর বাড়ি ভেঙ্গে ফেলতে পারে এমন কথা জানিয়ে দিয়েছিলো মৌলভীবাজার জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা । পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সরেজমিন এলাকায় এসে নদীর দুই তীরে মাপজোক করে লাল রঙ দিয়ে খুটি মেরে সীমানা নির্ধারিত করে চলে যায় , লাল রঙ এর খুটির ভিতরে ঘর বাড়ি ও বাস গাছ থাকলে কেটে ফেলার তাগিদ দে । লাল রঙ এর খুটির ভিতরে ঘর বাড়ি থাকলে মালিক পক্ষ না সরালে কন্ট্রাক্টরের লোক দিয়ে ভেঙ্গে ফেলবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল , এ নিয়ে ফানাই নদীর দুই তীরের মানুষ আতংকে ছিলেন । কর্মধা ইউনিয়নের আওতাধীন নদীর তীরের লোকেরা কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছিলো । তাদের দাবি ছিল নির্বাহী অফিসার সরেজমিন এসে দেখার জন্য ।
ফানাই পাড়ের জনগনের দাবীর প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার বিকালে ফানাই নদী খনন কাজ পরিদর্শনে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান সফি আহমদ সলমান ।
এসময় উপস্তিত ছিলেন রাউৎগাও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলীল জামাল , কর্মধা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ মুহিব আহমদ , রফিউল্লাহ মেম্বার, উম্মর আলী মেম্বার, কলা মিয়া, সাবেক মেম্বার হেলাল আহমদ , সুলতান মোঃ মনসুর আহমেদ এমপির কুলাউড়া অফিস সহকারি রুহেল আহমদ , বাবুল আহমদ সমাজ সেবক, আরও গন্যমানয় ব্যাক্তিবর্গ।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন কর্মধা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান কুলাউড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক মালিক মাষ্টার ।
আলোচনার প্রেক্ষিতে সিধান্ত গৃহিত হয় যে, ফানাই নদী সরকারী ম্যাপ অনুযায়ী ৫০ ফুট পানি সীমা প্রর্যন্ত পাবলিকের নিজ জায়গা । যেহেতু ফানাই নদী এখন খনন হবে ৬৬ ফুট, দুই সাইট পাবলিকের নিজ মালিকানায় থাকবে । এদিকে নদী খনন করতে গিয়ে যদি৬৬ ফুটের ভিতরে ঘর বাড়ি ও কবরস্থান মসজিদ রাস্তা থাকলে এগুলা রক্ষা করে নদী খনন করার সিদ্ধান্ত হয় ।
Helpline - +88 01719305766