ছাতকে বিদ্যুৎ বিভাগের ৩ কর্মকর্তাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রকাশিত:রবিবার, ০৩ জানু ২০২১ ১১:০১
ছাতক প্রতিনিধি:- ছাতকে বিদ্যুৎ বিভাগের ৩কর্মকর্তাসহ ৯জনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত বিচার প্রর্থী হয়েছেন সুজন মিয়া নামের এক বিদ্যুৎ গ্রাহক। এছাড়া দূর্নীতি দমন কমিশন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন সিলেট অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরেও এ অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগী গ্রাহক জাউয়া ইউনিয়নের পাইগাঁও গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র সুজন মিয়া জানিয়েছেন। প্রায় এক মাস আগে বিদ্যুৎ অফিসের এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগে আরো একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে দিয়েছিলেন শহরের বৌলা এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম।
সুজন মিয়ার অভিযোগ থেকে জানা যায়, একজন গ্রাহক হিসেবে স্বচ্ছতার সহিত বিদ্যুত সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন তিনি। তার মালিকানাধিন গাড়ির গ্যারেজে প্রি-পেইড মিটার (নং-০১০২৩০০২৫৯৮৪) স্থাপন করে রিচার্জের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন নিয়মিত। গত বছরের ১ আগষ্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রি-পেইড মিটারে তিনি প্রায় ১২ হাজার টাকা রিচার্জ করে বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করেছেন। প্রি-পেইড মিটারে রিচার্জ করে স্বচ্ছাতার সহিত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা সত্ত্বেও বিগত ১০ নভেম্বর ছাতক বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আবুল কাশেম, উপসহকারী প্রকৌশলী আলাউদ্দিন, ফজলে হাসান, লাইনম্যান আব্দুল বারেক, সাহায্যকারী মোস্তাফিজুর রহমান, রাসেল মৃধা, মমিনুল ইসলাম, দিলোয়ার ও সিকিউরিটি আক্তার হোসেন তার গাড়ির গ্যারেজে অবস্থান নেন।
কোন কারন ছাড়াই লাইন দেখা-দেখি করেও তারা বিদ্যুৎ লাইনে কোন রকম ত্রুটি খোঁজে পাননি। তার গ্যারেজে তারা কিছুক্ষন অবস্থান করার পর কর্মকর্তাদের নির্দেশে সাহায্যকারী দোলোয়ার গ্যারেজ মালিক সুজন মিয়ার কাছে মোটা অংকের উৎকোচ দাবী করে। প্রি-পেইড মিটারে স্বচ্ছভাবে বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করায় সুজন মিয়া তাদের উৎকোচের দাবী প্রত্যাখ্যান করেন। এতে কর্মকর্তাগনসহ বিদ্যুৎ অফিসের উপস্থিত লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ব্যবহৃত গাড়ি থেকে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক তার এনে গ্রাহক সুজন মিয়াকে অবৈধ বিদুৎ ব্যবহারকারী হিসেবে মামলা দেয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন। ব্যবহৃত প্রি-পেইড মিটারটি সঠিকভাবে স্থাপন হয়নি বলেও বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা তাকে অপরাধি হিসেবে চিহ্নিত করেন। শুধুমাত্র তাদের উৎকোচের দাবী পূরন না করার আক্রোশে গ্রাহক তার বিরুদ্ধে সাজানো আলামত সৃজন করে হয়রানীর লক্ষ্যে অপরাধি করা হয়েছে বলে সুজন মিয়া দাবী করেছেন।
তাদের মিথ্যে ও সাজানো অভিযোগ থেকে মুক্তি ও বিদ্যুৎ অফিসের উপস্থিত এসব কর্মকর্তাসহ লোকজনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুজন মিয়া বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।